কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কৈলাশঘোনা গ্রামে মা ও দুই শিশুকন্যার লাশ সিআইডি পুলিশ উদ্ধার করেছে। ভেতর থেকে তালাবদ্ধ ঘরের ফ্যানে মা ঝুলন্ত এবং বিছানায় দুই শিশুর লাশ পড়ে ছিল। এটি রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার দিনের কোনো এক সময়ে ঘটনাটি ঘটে। ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন অফিস কৈলাশঘোনা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে শহিদুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘরের কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁর স্ত্রী জিসান আকতারকে (২৫)। বিছানায় পাওয়া যায় তাঁদের দুই মেয়ে সাইফা শহিদ জাবিন (৫) ও সাইফা শহিদ জেরিনের (২) লাশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শহিদুল হক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। অল্প সময়ে ব্যবসায় সফলতা পেয়ে তাঁর পরিবার ভালোই চলত। পরিবারে কোনো ধরনের কলহ ছিল বলে জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েদের বিষ খাইয়ে মারার পর নিজেই ফাঁস দিয়েছেন শহিদুল হকের স্ত্রী। তবে কী কারণে, কিভাবে মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটল, এখনো তা স্পষ্ট নয়।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম জানিয়েছেন, লবণ ব্যবসায়ী স্বামী শহিদুল সকালেই ব্যাবসায়িক কাজে মহেশখালীতে গিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী ঘর থেকে বের হওয়ার পরই এমন রহস্যজনক ঘটনাটি ঘটে। বিকেল ৫টার দিকে সংবাদ পেয়ে ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করতেই নিহত শহিদুলের স্ত্রী জিসানের বাবার পরিবার আপত্তি জানায়।
জিসানের বাবার পক্ষ থেকে ঘটনার আলামত নষ্ট না হওয়ার জন্য সিআইডি পুলিশকে ডাকা হয়েছে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিআইডি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত জিসানের দুলাভাই কায়সার হামিদের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর শ্যালিকাকে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখতে পারে। কন্যাশিশুদ্বয় ঘটনা দেখে ফেলায় তাদের বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।