শুক্রবার , ৮ অক্টোবর ২০২১ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

পাবনার মাছ ট্রেনে চড়ে কলকাতা যেত!

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
অক্টোবর ৮, ২০২১ ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ

পাবনার নদী-বিলের মাছ নাকি ব্রিটিশ আমলে ট্রেনে চড়ে কলকাতা যেতো। কলকাতার ধনী ব্যাবসায়ীরা নাকি মিঠা পানির মাছ খুব পছন্দ করতেন।
তখন শতশত পরিবার মাছ ধরে সুখে শান্তিতে থাকতো। সেই সুস্বাদু মাছ এখন আর মেলে না। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি থাকলে অল্প সামান্য কিছু দেশীয় নদীর মাছ কিছু মেলে। শুধুই বর্ষাকালে। তবুও নদীর মিঠা পানির দেশি মাছ ধরে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে এখানকার জেলে পরিবারগুলো নদীতে মাছ ধরার পেশায় রয়েছেন অনেকে।
পাবনার গুমানী নদীর পানি টলটলে, স্বচ্ছ এবং স্নিগ্ধ। বেশি গভীর না থাকায় শুকনো মৌসুমে এই নদীতে পানি থাকে না বললেই চলে। আর শুকনো মৌসুমে নদীর মাঝখান দিয়ে হেঁটে পার হওয়া যায়। বর্ষাকালে দুকূল ভরে অপূর্ব সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়। নদীটি পূর্ণ যৌবন ফিরে পায়। অথচ একসময় নাকি এই নদীতে স্রোত বেশি থাকার কারণে স্টিমার, লঞ্চ, মালবাহী নৌকা চলাচল করতো।

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার গুমানী নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন এখানকার কয়েক শতাধিক জেলে পরিবার। বর্ষাকালে তাদেরকে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ততায় দেখা যায়। দেশি প্রজাতির মাছ খুব কম চোখে পড়ে। পাবদা,টেংরা,বেয়াল,আইড়,ভ্যাদা,গুচই বাইম, ফলি, চিংড়ি,চিতল,কাকিলাসহ নদীতে জাল ফেলে জালে যে মাছ উঠে,তা বিক্রি করে তাদের সংসার চলে।

ষাটোর্ধ বয়সের ভূপেন হালদার, গনেশ হালদার এর মতো বয়স্করা পূর্বপুরুষের এই ব্যবসা ধরে রেখেছেন। সারাদিন পরিশ্রম করেন, দিন শেষে পান দুই-তিনশো টাকা। বর্ষাকালে টানা স্রোত থাকে তখন বেশি মাছ পাওয়া যায়। আশ্বিনের শেষে নদীতে কম স্রোত থাকার কারণে কম মাছ মেলে। অভাব অনটনে থাকলেও সরকারীভাবে মেলে না সহযোগিতা। অনেকে পেশা বদল করে অন্য পেশাতে যোগ দিয়েছেন। বয়স্কদেরই যেন ‘মরার ওপর খড়ার ঘা’!

ছবিগুলো শুক্রবার (৮ অক্টোবর) পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ঝবঝবিয়া-নৌবাড়িয়া ঘাটের গুমানী নদীর থেকে তুলেছেন টিপু সুলতান

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ