মঙ্গলবার , ১০ মে ২০২২ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

ঈশ্বরদীতে ভারতীয় নাগরিক হত্যা মামলায় প্রেমিকার যাবজ্জীবন

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মে ১০, ২০২২ ১:৪৫ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে ভারতীয় নাগরিক হত্যা মামলায় প্রেমিকার যাবজ্জীবন

ঈশ্বরদীতে ভারতীয় নাগরিক আজব লাল যাদব (৫০) হত্যা মামলায় নাসিমা খাতুন (৩০) নামের এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ মে) বেলা আড়াইটার দিকে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাসিমা আক্তার ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর মেয়ে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক জানান, ভারতের বিহার প্রদেশের মাধুরাণী জেলার বাসিন্দা আজব লাল যাদব ২০১৪ সালের ২৮ মে ঈশ্বরদীর রশিদ ওয়েল মিলে রিফাইনারি ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন। সেখানে ২০১৬ সাল অক্টোবর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর রশিদ ওয়েল মিল থেকে চাকরিচ্যুত হয়ে তিনি অন্য জায়গায় চাকরি নেন। সে সময় তিনি উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভাড়া থাকার সুবাদে বাড়ির মালিকের মেয়ে নাসিমা খাতুনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই ভারতীয় নাগরিক। তিনি প্রচুর পরিমাণে মদপানও করতেন।

২০১৭ সালের ৬ মে কালিকাপুর গ্রামে সাইফুল্লাহর ভাড়া বাড়িতে থেকে বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় পরদিন ৭ মে ঈশ্বরদী থানার তৎকালীন এসআই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড়ির মালিক সাইফুল্লাহর মেয়ে নাসিমা খাতুনকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তদন্তে আজব লাল জাদবকে বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ফলের জুসের সঙ্গে বিষপান করিয়ে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। দীর্ঘদিন মামলার শুনানি ও সাক্ষ্য শেষে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক আর আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!