পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বিভিন্ন রেলরুটে চলমান ট্রেনগুলোতে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে বিনা টিকেটে রেল ভ্রমণের দায়ে ৯৩০ যাত্রীকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন ট্রেনে হকার ও ভিক্ষুকমুক্ত আরাম ও স্বস্তিদায়ক ভ্রমণের পরিবেশ বজায় রাখতে শতাধিক হকার, ভিক্ষুক ও ভবঘুরেকে মুচলেকার মাধ্যমে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ট্রেনে যাত্রী সাধারণের চলাচল বেড়ে গেছে। স্টেশনে আসনবিহীন টিকেটের ব্যবস্থা না থাকায় এবং অধিকাংশ স্টেশনে সীমানা প্রাচীর না থাকার সুযোগে টিকেটবিহীন যাত্রী ও ভর্তীচ্ছু পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রী ট্রেনে উঠে পড়েন। এ কারণে আজ সকাল থেকে খুলনা-ঈশ্বরদী-রাজশাহী, রাজশাহী-চিলাহাটি, রাজশাহী-ঢাকা, রাজশাহী-টুঙ্গিপাড়া, রাজশাহী-পাবনা রেলরুটে চলাচলকারী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, ঢালার চর একপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, তিতুমির এক্সপ্রেস, বরেন্দ এক্সপ্রেস ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেসগুলোতে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৯৩০ জন বিনা টিকেটের যাত্রীর নিকট হতে ভাড়া বাবদ এক লাখ ৪ হাজার ৩৭৫ টাকা এবং জরিমানা বাবদ ৫৬ হাজার ৮৯৫ টাকাসহ মোট এক লাখ ৬১ হাজার ২৭০ টাকা আদায় করা হয়। এ সময় বিভিন্ন ট্রেন থেকে শতাধিক হকার, ভিক্ষুক ও ভবঘুরেকে বিশেষ মুচলেকা নিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্রমতে, অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এ কে এম নুরুল আলম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টরবৃন্দ, ভ্রাম্যমাণ টিকেট পরিদর্শক, রেলওয়ে পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) মো. নাসির উদ্দিন জানান, ট্রেনে বিনা টিকেটে ভ্রমণ প্রতিরোধে ট্রেনগুলোতে ঝটিকা অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে ট্রেনে হকার, ভিক্ষুক ও ভবঘুরে মুক্ত করতেও অভিযান অব্যহৃত রাখা হবে।