জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়ার গোলাম পরওয়ারসহ নয় নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম ও হামিদুর রহমান আজাদ, শিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব, ইজ্জত উল্লাহ ও মোবারক হোসাইন। বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, তাঁরা রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা নষ্টের উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছিলেন-এমন খবরে অভিযান চালানো হয়।
জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মো. তাহের এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ওখানে দলীয় বৈঠক ছিল। অন্যায়ভাবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে অভিযান শেষ হতওয়ার পর রাতে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ডিসি মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে জামায়াতে ইসলামীর কিছু সদস্য বসুন্ধরার একটি বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। সেখানে তাঁরা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন। সন্ধ্যার পর পুলিশ ওই বাসায় অভিযান চালায় এবং জামাতের সেক্রেটারি জেনারেলসহ নয়জনকে আটক করে।
বৈঠককালে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক কিছু বই উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কেউ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে আটক জামায়াত নেতাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তিনি শুধু বলেন, তাঁরা নিরাপদেই আছেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বসুন্ধরার ওই বাসাটিতে তাঁরা প্রায়ই মিলিত হয়ে গোপন বৈঠক করতেন। আজও নাশকতার উদ্দেশ্যেই তাঁরা সেখানে মিলিত হয়েছিলেন বলে পুলিশ দাবি করছে।