ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লাভলু হত্যার ৭ বছর পর প্রধান আসামি মফিল ওরফে মফেলকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পাবনা।
গত সোমবার (৩০ আগস্ট) তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে পিবিআই পাবনার একটি চৌকস দল রাজ সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার বাজিতপুরের আরিফপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার মফেল ওই এলাকার মৃত মোসলেম মালের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পাবনার পরিদর্শক মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, ২০১৪ সালে ১ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে পাকশীর যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম লাভলু তার খালাতো ভাই মোস্তাকিন মনোয়ার ইশতিয়াককে নিয়ে পাকশী চায়না কর্টেজে ব্যবসায়িক কাজ শেষ মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন।
এই সময় পাকশী লালনশাহ টোল প্লাজা গোলচত্তরের নিকট অজ্ঞাত ৩/৪ জন ছিনতাইকারী রাস্তায় দড়ি বেঁধে গতিরোধ করে লাভলু ও তার ভাই মোস্তাকিনকে বেদম প্রহার করে। ছিনতাইকারীরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে লাভলুকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। পরের দিন লাভলু রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত লাভলুর ভাই আব্দুর রাজ্জাক বাবলু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেন। থানা ও সিআইডি পুলিশ দীর্ঘদিন ধরেও মামলার কুলকিনারা করতে না পারায় আদালতের মাধ্যমে পিবিআই হাতে আসে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আরো জানান, ডিআইজি পিবিআই বনজ কুমার মজুমদারের সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নিদের্শনায় পিবিআই পাবনা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মো. ফজলে এলাহীর সার্বিক সহযোগিতায় এবং তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় আসামিদের শনাক্ত করা হয়।
এরপর পিবিআই পাবনার এস আই সোহেল হোসেন, সবুজ আলী, আব্দুর রহিম, গোলাম মোক্তাদির, সাইদুর রহমান ও পঙ্কজসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে মফেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। মফেল পেশাদার খুনি, ডাকাত ও ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। নিহত লাভলু হত্যার প্রধান আসামি। এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পিবিআই পাবনার পুলিশ সুপার ফজলে এলাহী জানান, যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম লাভলু হত্যা মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার প্রচেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার মফেলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।