রবিবার , ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

আটঘরিয়া চিকনাই নদীতে ১০ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ শুরু

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১ ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
আটঘরিয়া চিকনাই নদীতে ১০ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ শুরু

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চিকনাই নদীতে রুচির সৌজন্যে ১০ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

শনিবার (০৪ সেপ্টম্বর) বিকেলে উপজেলার গৌড়লিয়া ও ফোলজানার মাঝদিয়ে বয়ে চলা চিকনাই নদীতে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন স্কায়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাটকোর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহিদুল ইমলাম রতন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম, সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি, যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিকসহ জেলার প্রতিটি উপজেলার চেয়াম্যান, মেয়রসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

পৃষ্ঠপোষকের অভাবে দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা এই প্রতিযোগিতা অনেকদিন বন্ধ ছিলো। কিন্তু দেশের সুনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান স্কয়ার গ্রুপের রুচির সৌজন্যে চতুর্থবারের মতো এই নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়। আর এই নৌকাবাইচ এর সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছেন আটঘড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
প্রথমদিনের নৌকাবাইচে জেলার বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে আসা ৪টি নৌকা অংশ নেয়। নদীর দুই পারে উৎসুক মানুষের সমাগমে মুখরিত হয়ে ওঠে নৌকাবাইচ স্থল। উদ্বোধনী খেলার দিন বাইচে অংশগ্রহণ করেন হাদল এক্সপ্রেস ও একতা এক্সপ্রেস ও দ্বিতীয় দফায় অংশ গ্রহণ করে পবাখালী এক্সপ্রেস ও আত্রাই এক্সপ্রেস।

প্রথম দিনের খেলাতে বিজয়ী হয়ে পয়েন্ট অর্জন করেন হাদল ও পবাখালি এক্সপ্রেস নামে দুটি নৌকা। গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী খেলা দেখতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ আসে চিকনাই নদীর পারে। জেলার প্রতিটি উপজেলার চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা এই নৌকাবাইচ দেখতে আসেন।

নৌকাবাইচ নিয়ে আয়োজকরা জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা প্রতিবছরই আমরা আয়োজন করে আসছি। তবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে স্কয়ার পরিবারের ‘রুচি’ সহযোগিতা দিয়ে আসছে। আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি যারা আমাদের এই সার্বিক আয়োজনে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। এই ধারাবাহিকতা বজায়ে থাকলে এই চিকনাই নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা সারাবিশ্বের মানুষ দেখবে।

নৌকাবাইচ নিয়ে বিশেষ অতিথি জেলা পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, এটা সত্যিই একটি সুন্দর আয়োজন। দেশের কালচারের সঙ্গে নৌকাবাইচ এর আত্মার সম্পর্ক। সমাজকে মাদকমুক্ত রাখার জন্য দেশের সব ধরনের খেলাধুলা চালু রাখতে হবে। আর এই নৌকাবাইচ সবার প্রাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমরা জেলা পুলিশ মুজিব বর্ষের যেমন অঙ্গিকার করেছি পুলিশ হবে জনতার। তাইতো আমরা এই বাইচস্থলে প্রচার চালাচ্ছি সমাজের যেকোনো ধরনের অন্যায় থেকে প্রতিকারের জন্য পুলিশের সহযোগিতা নিন। যেহেতু এই স্থানে অনেক মানুষের সমাগম ঘটবে তাই প্রতিদিন বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এই নৌকাবাইচের পৃষ্ঠপোষক স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের পরিচালক ও অ্যাটকোর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু বলেন, সারা বিশ্বের কাছে আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বার বার আমরা এই আয়োজনের সঙ্গে আছি। নৌকা এই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত। তাই শুধু বাংলাদেশ নয় সবার সহযোগিতায় আমরা এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।

করোনা মহামারির কারণে গ্রামের সাধারণ মানুষ বিনোদন থেকে দীর্ঘ সময় বঞ্চিত ছিলো। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ নিম্নমূখী থাকার কারণে এবারের এই অয়োজন করা হয়। সব মিলিয়ে এবারের আয়োজনে ২০টি নৌকা অংশগ্রহণ করছে। প্রথম দিনে ৪টি নৌকার বাইচ দিয়ে প্রতিযোতিতা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলা চলবে। আগামী ১৫ সেপ্টম্বর ফাইনাল খেলার মধ্যদিয়ে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শেষ হবে। নদীর উজান থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূর থেকে বাইচে অংশগ্রহণ করছে নৌকা। প্রতিটি নৌকায় ৬০ জন করে মাল্লা ছন্দের তালে নিজেরদের নৌকা এগিয়ে নিয়ে যায়। প্রতিটি নৌকাতে ঢোল আর কাশা নিয়ে আঞ্চলিক ও বঙ্গবন্ধুর উপরে গান গাইছেন গায়েনরা।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!