রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা বলেছেন, যখনই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, শেখ হাসিনা যখনই ক্ষমতায় থাকেন, তখনই দৃশ্যমান উন্নয়ন চোখে পড়ে। আসলে শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন।
আজ শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্যারেড অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
এর আগে, সকালে পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি এক মতবিনিময় সভা হয়। সভায় কিভাবে রেলওয়েকে আরও গতিশীল করা যায় এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেন তিনি।
রেলপথ সচিব সেলিম রেজা আরও বলেন, ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন রেল উন্নয়নে। এরই ধারাবাহিতায় বড় বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। স্বপ্নের পদ্মাসেতু দিয়ে ট্রেন চলবে। এতে কম সময়ে কম খরচে ফরিদপুর-যশোর হয়ে সহজে পাশ্ববর্তী দেয় ভারতে যাওয়া যাবে। ৫৬ বছর ধরে মানুষ অপেক্ষায় ছিল হলদিবাড়ি রুটে ট্রেন চলাচল করবে। অচিরে যাত্রীবাহী ট্রেন মিতালি এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করবে। দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর তো মংলা। মংলার সঙ্গে কোনো রেল যোগাযোগ ছিল না। আমরা খুলনা-মংলা রুটে রেললাইন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। কাজ প্রায় শেষের দিকে। পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় পঞ্চগড় পর্যন্ত রেললাইন আছে। আমরা বাংলাবান্ধা পর্যন্ত অচিরেই নিয়ে যাবো। বাংলাবান্ধা থেকে সহজে নেপাল-ভুটান যাওয়া যাবে।
সচিব সেলিম রেজা আরও বলেন, কক্সবাজার পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় পর্যটন এলাকা হবে। আমরা সেখানে রেলকে নিয়ে যাচ্ছি। ২০২২ সালে স্বল্প খরচে কম সময়ে পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার ট্রেনে যেতে পারবে ভ্রমণপিপাসু মানুষ। এই উন্নয়ন শেখ হাসিনার একটি বিপ্লব। রেলওয়ের বিপ্লব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমেই রেলপথ মন্ত্রণালয় আগামী ৩০ বছরের জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে। সেই নির্দেশে আমরা কাজ করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মাহাবুবুল হক, ঈশ্বরদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পি.এম ইমরুল কায়েস পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম ফিরোজী, অতিরিক্ত প্রকৌশলী আসাদুল হক পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম, পাকশি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, পাকশি বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, পাকশি বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, পাকশি বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বীরবল মণ্ডল, প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম, পাকশি বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম (লোকো) আশিষ কুমার মণ্ডল প্রমুখ।
দুপুরে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প, পাকশি নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল, পাকশি রেলওয়ে ডিগ্রি কলেজ, ঈশ্বরদী-পাকশি রেলরুটের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেঁষে নব-নির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব। বিকেল ৫টায় ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে ঢালারচর এক্সপ্রেসে ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলরুট পরিদর্শন করবেন।
আরো পড়ুন-
ঈশ্বরদী-রূপপুর রেলরুটের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করলেন রেলসচিব