আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সুযোগ পেলে বিএনপি আবার হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবন খুলবে। পাঁচ শ না, হাজার জায়গায় বোমা ফাটাবে তারা। তবে জনগণ তাদের সেই সুযোগ দেবে না।
তিনি বলেন, ‘রিজভী সাহেব বলেছেন, আমাদের নাকি বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। নয়াপল্টনে বসে গত ১২ বছর ধরে আমাদের বিদায়ঘণ্টা বাজাচ্ছেন বিএনপি নেতারা। তারা যত ঘণ্টা বাজায় তত আমাদের ভোট বাড়ছে। আমাদের নয়, আসলে তাদের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে।
দেশে নতুন দল হয়েছে ‘ভুল ধরা পার্টি’
দেশে এখন দুই ধরনের দল হয়েছে। একদল মানে আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করছে, মানুষের পাশে থাকছে। আরেক দল ভুল ধরে যাচ্ছে। নতুন এই দল হচ্ছে ‘ভুল ধরা পার্টি’। বিএনপি-জামায়াতের মতো তারা রাত ১২টার পর টেলিভিশনে বসে সরকারের ভুল ধরে যাচ্ছে। তারা শুধু টেলিভিশনেই সক্রিয়, কেউ মাঠে নেই।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
আজ শনিবার দুপুরে পাবনায় পুলিশ লাইনস মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের পাবনা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপিসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি সুযোগ পেলে এখন যারা গ্রামে গ্রামে ভাতা পাচ্ছে সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। ওএমএসের চাল বন্ধ হয়ে যাবে, যারা ঘর পাচ্ছে সেই ঘর বিএনপির গুণ্ডাপাণ্ডারা দখল করে নেবে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর ছয় হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক দখল করে নিয়েছিলেন। আবার তারেক জিয়া আসবে, সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা তুলবে। আবার শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাইয়ের সৃষ্টি হবে। ‘
বিএনপি-জামায়াতের কোনো রাজনীতি নেই, করোনাকালে বিএনপি নেতাদের মানুষের পাশে দেখা যায়নি উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি আওয়ামী লীগের ভুল ধরা আর বেগম জিয়ার তাপমাত্রা আর ব্যথা নিয়ে। তাকে আলোচনায় রাখার জন্য কানাডার এক নেতা অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। এই হলো তাদের রাজনীতি। আর তাদের পক্ষে যারা রাত ১২টার পর টেলিভিশন গরম করে তারা ফকিরদের ভিক্ষাও দেয় না, এদের বাড়িতেও কেউ যায় না। ‘
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা দেশব্যাপী ত্রাণ ও করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী দিয়েছেন, মোহম্মদ নাসিম, ইসরাফিল আলমসহ পাঁচজন আওয়ামী লীগ নেতা করোনায় সেবা দিতে গিয়ে মারা গেছেন, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে প্রতিটি মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন এসেছে। শতভাগ বিদুৎ মানুষ পাচ্ছে, তিন কোটি মানুষ ভাতা পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে ষাটোর্ধ্ব সবার জন্য পেনশন স্কিম চালু করছেন। এসব মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লালকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপিকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন :