ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডায় পদ্মার জেগে ওঠা চরের ফসলি জমির মাটি ও বালু কাটা চলছে অবাধে। এসব মাটির বেশির ভাগই যাচ্ছে স্থানীয় অবৈধ ইটভাটায়। এতে শত শত বিঘা ফসলি জমি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। চরাঞ্চলের এসব ফসলি জমিতে গম, খেসারিসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয়। মাটি কাটার ফলে আবাদি জমির পরিমাণ ক্রমশ কমে যাচ্ছে।
লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের মাটি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিদিন ঐ এক ইউনিয়ন থেকে শত শত গাড়ি মাটি কেটে নিচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, চক্রটি কৃষকদের প্রলোভন দেখিয়ে ভেক্যু মেশিন দিয়ে এসব ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি এম ইমরুল কায়েস বলেন, বিগত বছরে ঐ এলাকায় বেশ কয়েক দফা অভিযান চালানো হয়েছে। শহর থেকে ঐ এলাকার দূরত্ব অনেক বেশি। আমরা পৌঁছানোর আগেই মাটিখেকোরা সটকে পড়ে। ভেক্যু মেশিন এবং দিনমজুর ছাড়া কাউকে পাওয়া যায় না। এবারে মাটি সরবরাহের উত্স বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। রবিবার লক্ষ্মীকুন্ডার ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছি। ফসলি জমির ওপরিভাগের মাটি কেটে নষ্ট না করার বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।