সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আজ সোমবার রাত ৮টার পর থেকে ঈশ্বরদী বাজার বন্ধ থাকবে। সোমবার দুপুর ১২টায় ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির পক্ষ থেকে সরকারি প্রজ্ঞাপন মেনে রাত ৮টার পরে বাজারের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঈশ্বরদী বাজারে প্রতিটি মার্কেটে মাইকিং করে সরকারি নির্দেশনা ব্যবসায়ীদের জানানো হয় এবং পালনের অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, করোনাকালীন সময় থেকে সরকারি সকল প্রজ্ঞাপন বাজারের ব্যবসায়ীরা পালন করে আসছে। এবারও আজ থেকে সরকারি নির্দেশনা মেনে বাজারের ব্যবসায়ীরা রাত আটটার মধ্যেই দোকান বন্ধ করব।
তবে সামনে ঈদের বাজার বিবেচনা করে বন্ধের সময় বৃদ্ধির অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্টদের কাছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেছেন, আগামী ১ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত কোরবানির ঈদের আগের সময়। তাই এই সময়ে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যায় কি না, তা বিবেচনায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে রাত আটটার পর থেকে দোকান, বিপণিবিতান ও কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান।
রাত আটটার পরে দোকানপাট বন্ধ রাখতে ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি অনুশাসন দিয়েছিল। সেই অনুশাসন বাস্তবায়ন করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুশাসনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয় করা দরকার। এ কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তবে বেশ কিছু সেবা খাতকে এই সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হয়েছে। যেমন রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল, হাসপাতাল, দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্নের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান, ওষুধ ও অপারেশন সরঞ্জাম বিক্রির দোকান, নাপিত ও কেশ প্রসাধনীর দোকান, ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকান, সিনেমা, থিয়েটার, খুচরা পেট্রল বিক্রির দোকান, যেকোনো ময়লানিষ্কাশন বা স্বাস্থ্যব্যবস্থা কার্যক্রম এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে।
এ ছাড়া পান, বিড়ি ও সিগারেটের দোকান, খবরের কাগজ, দোকানে বসে খাওয়া যায় এমন নাশতা বিক্রির দোকানও রাত আটটার পর বন্ধের সিদ্ধান্তের বাইরে থাকবে।
তবে বাসার গলির মুদির দোকান খোলা থাকবে কি না, সাংবাদিকেরা এমন প্রশ্ন করলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও সচিব কেউই এর কোনো পরিষ্কার জবাব দিতে পারেননি।