সোমবার , ১৩ জুন ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীর পদ্মার চরে ‘গুপ্তধনের’ হাসি

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
জুন ১৩, ২০২২ ৭:০১ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীর পদ্মার চরে ‘গুপ্তধনের’ হাসি

কৃষি অফিসের সহযোগিতা পান না বাদাম চাষিরা


ঈশ্বরদী পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাদাম চাষ করা হয়েছে। বাদামের সবুজ গাছের চাদরে ঢেকে আছে চর। চলতি মৌসুমে বাদামের দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় ফুটেছে কৃষকের মুখে হাসি। তাই চরের কৃষক বাদামকে ভালোবেসে নাম দিয়েছেন গুপ্তধন। পদ্মার চরাঞ্চল ছাড়াও উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকাতেও বাদাম চাষ করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে ঈশ্বরদীর,মাজদিয়া ইসলাম পাড়া, আসনা, সাড়াঘাট, ১০৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। পদ্মা নদীর বুকজুড়ে বালুচর রয়েছে। এসব বালুচরে মাইলের পর মাইল চাষ হচ্ছে চিনা বাদাম। সাদা বালুর জমিনে সবুজে ছেয়ে গেছে চারদিক। আবার অনেকের জমি থেকে বাদাম তোলা শুরু হয়েছে। কোথাও কোথাও বাদামের গাছ পরিপক্ক হয়েছে। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চরাঞ্চলের চাষিরা বাদাম গাছের পরিচর্যা কিংবা বাদাম তোলার কাজ করছেন। পরিবারের নারী ও শিশুরা এই কাজে সহযোগিতা করছেন।

প্রতিটি গাছের মুঠি ধরে টান দিলেই উঠে আসছে চিনা বাদাম। এ যেন বালুর নিচে লুকিয়ে থাকা গুপ্তধন। এই গুপ্তধন দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও কৃষি অফিস থেকে বাদাম চাষিরা পাইনি কোনো সহযোগিতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, আমরা দাদন নিয়ে বাদাম আবাদ করি আমরা সরকার থেকে কোনো প্রকার প্রণোদনা পাইনি সরকার এত কিছু দেয় আর আমাদের কিছুই দেয় না। অতিবর্ষ হলে আমরা আসল টাকায় ঘরে তুলতে পারি না, বালু মাটিতে অন্য কোনও ফসল উৎপাদন হয় না। শুধুমাত্র বাদামের আবাদ পাওয়া যায় না। অন্যান্য ফসল উৎপাদনের চেয়ে চিনা বাদাম উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকরা বাদাম চাষ করেন।

বাদাম রোপণের পর অন্য ফসলের মতো তেমন কোনও পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। নেই রাসায়নিক সারের ব্যবহার। বীজ রোপণ আর পরিপক্ক বাদাম ওঠানোর শ্রমিক খরচ ছাড়া তেমন খরচ নেই। তাই চিনা বাদাম চাষ করে চরের কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। তাদের সংসার চলে কৃষিকাজ করে।

পদ্মা চরের বাদাম চাষি গোলাম সারোয়ার সোহাগ বলেন, এবার ১০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। সরকার থেকে কোন প্রকার প্রণোদনা পাইনি এমন কি ঈশ্বরদী কৃষি অফিসের কোন অফিসার কিনবা ব্লক সুপার ভাইজার মাঠ পরিদর্শন করে নাই। এক বিঘা জমিতে নয় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যে বাদাম হয়েছে তাতে খরচ বাদে ২০-২৫ হাজার টাকা লাভ হবে। বাদাম ছাড়াও গাছগুলো গো-খাদ্য ও জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এগুলো বিক্রি করে আরও কয়েক হাজার টাকা পাওয়া যাবে।’

ঈশ্বরদী উপজেলার কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলা ২৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাদাম চাষ হচ্ছে পদ্মার চরে। এই চরের কৃষকরা বাদাম চাষে সফল হওয়ায় প্রতিবছর আবাদ বাড়ছে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ