মঙ্গলবার , ৭ জুন ২০২২ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

ঈশ্বরদী-মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে চায় প্রতিবন্ধী মাসুদ রানা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
জুন ৭, ২০২২ ৭:০৪ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদী-মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে চায় প্রতিবন্ধী মাসুদ রানা

২২ বছর বয়সী তরুণ মাসুদ রানা জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। লাঠি ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারলেও ২-৪ কদমের বেশি হাঁটতে পারে না। হাঁটুর নিচ দুই পা অবশ। বাবা দিনমজুর থাকায় অভাব-অনটনের সংসারে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। এভাবেই ছোট থেকে বেড়ে উঠেছে মাসুদ রানা। তবে ভিক্ষা বৃত্তি বা কারো বোঝা হয়ে নয়, মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকতে চায় রানা।

এখন বাবাও বেঁচে নেই। বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিকের স্বল্প আয়ের সংসারে মাসুদ রানার ঠাঁই হলেও ভাইয়ের কাঁধের বোঝা হয়ে থাকতে চায় না। লেখাপড়া না শিখলেও হিসেবে বেশ পারদর্শী। তাই বাড়ির সামনে কাঠের চৌকি পেতে টিনের ছাউনির মধ্যে চা-বিস্কুটসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে উপার্জন করছে। দরিদ্র পরিবারের প্রতিবন্ধীরা ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিলেও মাসুদ রানা ব্যতিক্রম। মানুষের কাছে হাত পেতে সাহায্য নিতে চায় না। ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের চরসাহাপুর গ্রামের ইমান আলীর ছেলে আত্মপ্রত্যয়ী মাসুদ রানা স্বপ্ন দেখেন ছোট পরিসরে হলেও ব্যবসা করে নিজের ভরন-পোষণ নির্বাহ করতে। রাস্তার পাশে নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় ২ মাস হলো টিনের ছাউনি দিয়ে চা, সিগারেট, বিস্কুট, চিপস, চকলেট, আচারসহ হরেক রকমের মালামালের পসরা দিয়ে দোকান পেতেছে। এলাকার শিশু-কিশোররা তার খদ্দের। যা বেচাকেনা হয় দিন শেষে তা ভাইয়ের হাতে তুলে দেন।

মাসুদ রানা বলেন, সংসারে অভাব থাকলেও কখনো মানুষের কাছে হাত পেতে সহযোগিতা চাইনি। ছোটবেলা থেকেই ভিক্ষাবৃত্তিকে ঘৃণা করি। বড় ভাই দোকান করে দিয়েছেন এতেই আমি সন্তুষ্ট। দোকানে প্রতিদিন গড়ে ৫০০-৬০০ টাকা বেচাকেনা হয়। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ভাতাও পায়। দোকানটি আরও বড় হবে বলে তার আশা। প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, মনোবল ও আত্মপ্রত্যয় থাকলে স্বাবলম্বী হতে পারে বলে মাসুদ রানা জানিয়েছে।

বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী মাসুদ রানা । হাঁটতে পারে না বলে স্কুলে যেতে পারেনি।এখনো হাঁটু গেড়ে চলাফেরা করে। একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা এখনো হয়নি। তবে জেলা সমাজসেবা অফিসার এবার হুইল চেয়ার দেবেন বলে জানিয়েছেন। বাড়ির সামনে টিনের ছাউনি দিয়ে দোকান করে দিয়েছি। এখানে বসে টুকটাক বেচাকেনা করে। টাকার ব্যবস্থা হলে এখানে দোকানঘর করে দেবো, যাতে ব্যবসা করে জীবন চালাতে পারে।

ঈশ্বরদী সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাশেদুল কবির জানান, এখনো বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে প্রতিবন্ধী মাসুদ রানাকে একটি হুইল চেয়ার দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!