ঈশ্বরদীতে প্রধান শিক্ষকের ওপর আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে হামলা ও হুমকির ঘটনার চার দিন পর মামলা হয়েছে। ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে আলাউদ্দিন খানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে এজাহার জমা দিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এই মামলায় উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন খানকে হুকুমের প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- আনিসুর রহমান, মোস্তফা কামাল, তৈমুর রহমান, আকরাম হোসেন, ইন্তাজ মোল্লা, মোহাম্মদ রহমান, আমাল উদ্দিন ও নাজিমউদ্দিন। এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দরগাবাজার উচ্চবিদ্যালয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা-৪ আসনের সাংসদ নুরুজ্জামান বিশ্বাস ও সভাপতিত্ব করেন সাবেক সাংসদ পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস। অনুষ্ঠান শেষে ওই দিন সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম তাঁর এক সহকারী শিক্ষকের মোটরসাইকেলের পেছনে বসে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন খানের দলবলের কাছে হামলার শিকার হন তিনি। হামলাকারীরা এ সময় প্রধান শিক্ষককে স্বাধীনতা দিবসে স্কুলের অনুষ্ঠানে আলাউদ্দিন খানকে কেন অতিথি করা হয়নি- তা জানতে মোটরসাইকেল অবরোধ করেন। তাঁরা ওই শিক্ষককে গালি ও হুমকি দেন। মোবাইল কেড়ে নিয়ে মারধর ও বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করেন। পরদিন প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
মামলা প্রসঙ্গে আলাউদ্দিন খান বলেন, ‘অনৈতিকভাবে আমার নামে মামলাটি করা হয়েছে। আমি আসলে কোনোভাবেই ঘটনার সঙ্গে সংযুক্ত ছিলাম না। ’
ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন :