ঈশ্বরদীতে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি না করায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ওই শিক্ষককে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ( ২৮ মার্চ ) দুপুরে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দরগা বাজার এলাকায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসীর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পথসভায় বক্তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও তাদের শাস্তির দাবি করেন। এ ছাড়া তারা আগামীকাল মঙ্গলবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।
পথসভায় আন্দোলনকারী বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে উপজেলার দাশুড়িয়া দরগাবাজার উচ্চ বিদ্যালয় দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা-৪ আসনের সাংসদ নুরুজ্জামান বিশ্বাস ও সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন সাংসদ পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস। ওই অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় এলাকার রাস্তায় মোটরসাইকেল অবরোধ করে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন খানের নেতৃত্বে বিএনপি জামাতের কিছু লোকজন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এমনকি তাঁকে স্কুলে না আসতে হুমকি দেওয়া হয়।
প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম
তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, স্কুলের অনুষ্ঠানে অতিথি না করায় আলাউদ্দিন খান হামলার সময় উপস্থিত থেকে এ ঘটনা ঘটান।
এদিকে, রোববার রাতে প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন খানসহ বিএনপি-জামাতের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আলাউদ্দিন খান বলেন, তিনি ঘটনার সময় ছিলেন না। তবে প্রধান শিক্ষক কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে দাওয়াত দেননি, যারা স্কুলের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। হয়তো তারা রাগান্বিত হয়ে কিছু কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়নি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের দেওয়া একটি অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।