ঈশ্বরদীর তরুণ লেখক সঞ্জয় চৌধুরীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘শূন্যতার অপর পৃষ্ঠা’ তরুণ পাঠকদের মাঝে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। নিজের জীবনবোধ এবং অনুভূতিকে সহজ ভাষায় তুলে ধরার দক্ষতার জন্য এটি তরুণ প্রজন্মের কাছে আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে।
সঞ্জয় চৌধুরী ছোটবেলা থেকেই গল্প ও কবিতা লেখায় প্রবল আগ্রহী। তাঁর লেখা গল্প ও কবিতা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, তাঁর লেখা আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয় এই ম্যাসেজ দিয়ে লেখা গল্প ‘পরিবর্তন’ পাঠকদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে। নিজের প্রকাশিত প্রথম বই ‘শূন্যতার অপর পৃষ্ঠা’ তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি নিজস্ব ফেসবুক পেজ থেকে কন্টেন্ট তৈরি করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন।
বর্তমানে তিনি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) বিভাগে অধ্যয়ন করছেন।
তরুণদের ভালোবাসার কারণ
‘শূন্যতার অপর পৃষ্ঠা’ বইয়ের কবিতাগুলিতে শূন্যতা, ভালোবাসা, বিচ্ছেদ এবং আত্মপ্রত্যয়ের মতো বিষয়গুলো গভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কবিতাগুলি তরুণদের মনের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে, কারণ সেগুলোতে তাদের নিজস্ব অনুভূতিগুলির প্রতিফলন দেখতে পেয়েছেন তারা।
ঈশ্বরদীর এক তরুণ পাঠক বলেন, “সঞ্জয়ের বইটি আমার জীবনের এক দিককে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। তার কবিতাগুলি যেন আমার মনের কথা বলছে।”
ঈশ্বরদীতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু
সঞ্জয়ের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঈশ্বরদীর মাটি ও মানুষের সঙ্গে তার একটি গভীর সংযোগ তৈরি করেছে। ফলে এখানে তার বই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তরুণদের মধ্যেই কেবল নয়, স্থানীয় বিভিন্ন পাঠক সমিতি এবং সাহিত্যচর্চার আসরগুলোতেও ‘শূন্যতার অপর পৃষ্ঠা’ নিয়ে কথা হচ্ছে।
সারা দেশে সাড়া ফেলছে
বইটি শুধু ঈশ্বরদীতে নয়, সারা বাংলাদেশেই বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন পাঠক বইটি নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমেও তরুণরা বইয়ের কবিতাগুলি নিয়ে আলোচনা করছেন, যা বইটির জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়েছে।
লেখকের প্রতিক্রিয়া
সঞ্জয় চৌধুরী বলেন, “ঈশ্বরদী আমার শিকড়, আর এখানকার মানুষদের ভালোবাসা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তবে সারা দেশের তরুণরা যেভাবে বইটি গ্রহণ করেছে, তাতে আমি অভিভূত। এটা আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা।”
সঞ্জয় চৌধুরী কবিতা লেখার পাশাপাশি কবিতা ভিত্তিক ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ঈশ্বরদীসহ সকল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।