রবিবার , ১৩ মার্চ ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ : কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে-ক্যাম্পাসে বালু ও খোয়া স্তূপ

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মার্চ ১৩, ২০২২ ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ
ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ : কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে-ক্যাম্পাসে বালু ও খোয়া স্তূপ

অধ্যক্ষসহ ১৬ শিক্ষকের পদ শূন্য


ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৩ সালে। কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি ও ১২টি বিষয়ে অনার্স কোচ চালু রয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৮ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন ৪২ জন। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ মিলে ১৬ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। তবে চুক্তিভিত্তিক ১২ জন শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাচ্ছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকায় সার্বিক কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে এক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।

জানা গেছে, দুই মাসের বেশি সময় ধরে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের পদ শূন্য রয়েছে। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোছা. হাফিজা খাতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যক্ষ না থাকায় কলেজের প্রশাসনিক, একাডেমিকসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। একাধিক শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি ও ১২ বিভাগে অনার্স মিলে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। কলেজ ক্যাম্পাসে নির্মাণ সামগ্রী বালু-খোয়া স্তূপাকারে ফেলে রাখা ও শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন থাকায় শিক্ষার্থীরা বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। গত ২ মার্চ থেকে এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্পাসে নির্মাণ সামগ্রী বালু ও খোয়া স্তূপাকারে ফেলে রাখা হয়েছে। বাতাসে স্তূপ থেকে বালু গিয়ে শ্রেণিকক্ষগুলোর বেঞ্চ, মেঝে ধুলোবালিতে অপরিচ্ছন্ন হয়ে আছে। জানা যায়, গত বছরের ৬ নভেম্বর ‘মোজাম্মেল হক সমাজবিজ্ঞান ভবন’ নামে কলেজের ছয়তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর সামান্য কিছু কাজ করার পর বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই সময় কাজের জন্য বালু-খোয়া এনে রাখার পর এগুলো আর সরানো হয়নি।

এইচএসসি প্রথম বর্ষের তিন-চারজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, কলেজটি ঈশ্বরদীর পুরনো একটি কলেজ। ‘ক্যাম্পাসে বালু-খোয়ার স্তূপ, শ্রেণিকক্ষে ধুলোবালি, ভবনগুলোর অবস্থা জরাজীর্ণ। আগে ভাবিনি ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অবস্থা এত নাজুক।

একজন কলেজ শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অধ্যক্ষ না থাকায় কলেজের প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে। কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ জুলাই অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রহিমকে বদলি করা হলে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর জাকিরুল হককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়। একই বছরের ২১ ডিসেম্বর প্রফেসর জাকিরুল অবসরে যান। সেই থেকে কলেজের অধ্যক্ষের পদ শূন্য রয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোছা. হাফিজা খাতুন বলেন, সরকারি কলেজটি ঈশ্বরদীর উল্লেখযোগ্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফলও সন্তোষজনক। কলেজে কিছু সমস্যা রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখাসহ কলেজের শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ক্যাম্পাসে বালু-খোয়া স্তূপাকারে রাখার বিষয়ে বলেন, কলেজে ছয়তলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হলে এসব সামগ্রী এনে রাখা হয়। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ