শনিবার , ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

মোটরসাইকেল কেনার টাকা যোগাতে শিশুকে অপহরণ করে খুন

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১ ৫:৪০ অপরাহ্ণ
মোটরসাইকেল কেনার টাকা যোগাতে শিশুকে অপহরণ করে খুন

মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার বড়বাকা এলাকার উঠতি তরুণ হৃদয় হোসেন (২০) ও সাদ্দাম হোসেন (১৯)। এলাকায় তারা বখাটে হিসেবে পরিচিত। এই গ্রুপে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরও রয়েছে। দ্রুত অনেক টাকার মালিক হওয়ার চিন্তা ঢুকে তাদের মাথায়। এলাকায় প্রভাব খাটানোর জন্য তাদের মোটরসাইকেলও দরকার। কিন্তু ধনী হতে এবং মোটরসাইকেল কেনার টাকা জোগাড়ে তাদের পরিকল্পনাটা ভালো ছিল না। এই কিশোর-তরুণেরা অপহরণ করে মুক্তিপণের টাকা দিয়ে বড় লোক হতে চেয়েছিল। সে অনুযায়ী এক শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণও চায়। কিন্তু ধরা পড়ার ভয়ে শিশুটিকে খুন করে লাশ গুম করে।

গত ২৮ আগস্ট সিংগাইরের বড়বাকা এলাকার নিজ বাড়ির সামনে থেকে অপহরণের শিকার হয়েছিল সাত বছরের শিশু আল আমিন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ওই তিনজনকে গত শুক্রবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। এরপর শিশু অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়। শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পিবিআই হেডকোয়ার্টারে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পিবিআই কর্মকর্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের মানিকগঞ্জ ইউনিটের ইনচার্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২৮ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে শিশু আল আমিন বাড়ির সামনে রাস্তার উপর বাইসাইকেল চালানোর জন্য বের হয়। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে না ফেরায় স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তাকে না পেয়ে শিশুটির বাবা সিংগাইর থানায় জিডি করেন। এর দুইদিন পর সকালে স্থানীয় লোকজন একটি পরিত্যক্ত ভিটায় আল আমিনের মরদেহ পায়। এরপর থেকেই ছায়াতদন্ত শুরু করে অপহরণ ও হত্যায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে দ্রুত বড় লোক হওয়ার জন্য কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। আসামি হৃদয় ওইদিন শিশুটিকে বন্যার পানি দেখানোর কথা বলে তুলে নেয়। তাকে স্থানীয় সাপের ভিটায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেয় তাদের গ্রুপের কিশোর সদস্য। এরপর ওই দুইজন আল আমিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর প্লাস্টিকের একটি বস্তায় ভরে বাঁশঝাড়ের পাশে হাঁটু পানির নিচে সেটি লুকিয়ে রাখে। তবে আল আমিন যে তাদের কাছেই রয়েছে, তা প্রমাণে শিশুটির পরনের গেঞ্জি ও প্যান্ট নিজেদের কাছে রেখে দেয় তারা।

পিবিআই কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বলেন, তাদের পরিকল্পনা ছিল শিশুটিকে হত্যার পর নতুন সিম থেকে শিশুর স্বজনদেরকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ আদায় করবে। এজন্য আসামি সাদ্দামকে তা কিনতে দায়িত্ব দেওয়া হলেও সে ব্যর্থ হয়। মুক্তিপণ চাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আল আমিনের লাশও পেয়ে যায়। এরপরই তিনজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তিনজনই ভারতে পালিয়ে যেতে বেনাপোল সীমান্তে চলে যায়। তবে তাদের কাছে প্রয়োজনীয় টাকা না থাকায় দালালদের মাধ্যমে পালাতে পারেনি। তা ছাড়া প্রযুক্তির সহায়তায় পিবিআই তাদের পিছু নিয়েছিল।

পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু ইউছুফ বলেন, উঠতি এই দুই তরুণ ও এক কিশোরের মাথায় দ্রুত সম্পদের মালিক হওয়ার লোভ চাপে। তারা মোটরসাইকেল কেনার স্বপ্ন দেখতে থাকে। সেই টাকা জোগাড় করতে শুরুর দিকে তারা মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার সিদ্ধান্ত নেয়। তা না পেয়ে অপহরণের চিন্তা আসে এদের মাথায়। শিশু আল আমিনের ঘটনাতে সফল হলে তারা আরও দুইজনকে অপহরণেরও ছক কষেছিল।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঈশ্বরদীতে পুকুরে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু

ঈদের দিন থেকে স্বাভাবিক ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা

ঈশ্বরদীতে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

অনেক কিছুই বলার আছে মাহমুদউল্লাহর

ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে সন্তান প্রসব করলেন মা

ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে সন্তান প্রসব করলেন মা

দোয়া চেয়ে বিলবোর্ড টাঙিয়ে ভাইরাল পাঁচ শিক্ষার্থী

দোয়া চেয়ে বিলবোর্ড টাঙিয়ে ভাইরাল পাঁচ শিক্ষার্থী

খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন
অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ পড়লে অগ্রগতি হবে না : প্রধানমন্ত্রী

ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া বাইপাস : গোলচত্বরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে মহাসড়কের ফুলের বাগান

ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া বাইপাস : গোলচত্বরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে মহাসড়কের ফুলের বাগান

ঈশ্বরদীতে সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধু হত্যার বিচার চাইলেন স্বামী ও মা

ঈশ্বরদীতে সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধু হত্যার বিচার চাইলেন স্বামী ও মা

ঈশ্বরদীর বাজারে দেশি লিচু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ