মঙ্গলবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

সরগরম হয়ে উঠেছে পাবনা জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন-আলোচনায় যারা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২ ৫:১৬ অপরাহ্ণ
সরগরম হয়ে উঠেছে পাবনা জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন-আলোচনায় যারা

দীর্ঘ ৭ বছর পরে চলতি মাসের ১৯ ফোব্রুয়ারি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। এই সম্মেলন ঘিরে বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন। প্রবীণ ও নবীন পদপ্রত্যাশীদের পোস্টার, ব্যানারে, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো শহর।

এবারের সম্মেলনে দলের সভাপতি ও সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণে সরকারের দেওয়া বিধি-নিষেধের মধ্যেই আয়োজন হতে যাচ্ছে এবারের সম্মেলন। করোনা সংক্রমণের এই সময়ে সম্মেলনের তারিখ ও সময় নিয়ে তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই সরকার দলীয় দায়িত্বশীলদের।

দেশের বৃহত্তম প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাবনা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে চলতি মাসের ১৯ তারিখে।

পাবনা ঐতিহাসিক পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে (পুলিশ লাইনস মাঠে) সম্মেলনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বেশ কয়েক বছর পরে এই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের কারণে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে জেলার প্রথম সারির নেতারা নিজেদের প্রচার প্রচারণায় পুরো শহর জুড়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ঝুলিয়েছেন। কে হবে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে প্রতিটি স্থানে চলছে জল্পনা কল্পনা।

এই সম্মেলনে সভাপতি ও সম্পাদক পদে প্রায় ২০ জন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এবারের সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আব্দুল রহমানের। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপিসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আরও বেশ কিছু নেতা।


এবারের সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তারা হলেন- পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, দলের সহ-সভাপতি সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অ্যাড. শাসসুল হক টুকু, সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সাবেক সংসদ সদস্য দলের সহ-সভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজু ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. ইদ্রিস আলী বিশ্বাস। এছাড়াও দলের সভাপতি পদের জন্য আলোচনায় রয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা তৌফিকুল আলম তৌফিকসহ আরও অনেকেই।


এছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন পাবনা সদর -৫ আসনের সংসদ সদস্য বর্তমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স, ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ উপকমিটির সদস্য মো. মাজহারুল ইসলাম মানিক।

এছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড বেলায়েত আলী বিল্লু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সোহেল হাসান শাহীনসহ আরও অনেকেই।

দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই আমাদের কাছে চূড়ান্ত। দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে আছি, দলের সব কর্মকাণ্ড পালন করছি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত দলের সেবা করতে চাই। দলের নীতি নির্ধারকেরা জানেন আমি কে আমার পরিচয় কি। দুঃসময়ে দলের জন্য কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আমার আস্থা আছে। তিনি আমাকে দায়িত্ব দিলে অবশ্যই আমি পালন করবো। আর বিধি-নিষেধের বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা সম্মেলন করছি। লোক সমাগম কম করা হবে। সবাইকে মাস্ক পরে সমাবেশস্থলে আসার জন্য বলা হয়েছে। কোনো সমস্যা হবে না।

সম্মেলনের বিষয়ে পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, দেশের কল্যাণে মানুষের প্রয়োজনে রাজনীতি করছি আমরা। করোনা মহামারি এই সংক্রমণ থেকে দেশের মানুষদের রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলছে। দেশের উন্নয়ন ও রাজনৈতিক কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। সব নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্মেলনে অসার জন্য বলা হয়েছে। দলের নীতি নির্ধারকেরা দলের প্রয়োজনে এই তারিখ ও সময় নির্ধারণ করেছেন। আশা করছি সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্মেলনে আসবেন।

দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, রাষ্ট্র এবং মানুষের জন্য রাজনীতি করছি আমরা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও শেখ হাসিনার নেত্রীতে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তৃণমূলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য প্রতিটি জেলাতে সম্মেলন শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পাবনা জেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। করোনা সংক্রমণে আগে যে ভয় ছিল এখন আমরা অনেকাংশে নিরাপদ। সংক্রমণকে ভয় না পেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের সম্মেলনের গুরুত্ব একটু বেশি।

এবারের সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম মানিক বলেন, এই জেলার সন্তান আমি ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি করে আসছি। আমার জেলাতে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিচর্চা নেই বল্লেই চলে। ক্ষমতাকে আগলে রাখার রাজনীতি চলছে এখানে। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারেনি। আর এর অন্যতম কারণ দায়িত্বে থাকা অভিভাবকেরা সঠিক প্রার্থী ও তাদের সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন। পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা তরুণ নের্তৃত্ব প্রত্যাশা করছেন।

ক্ষমতাকে আগলে না রেখে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। হাউব্রিডদের কারণে আজ দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা অনেকাংশে উপেক্ষিত। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিতের জন্য এবারের সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের ১৩ মাস পরে ৯৩ সদস্য বিশিষ্ঠ জেলা কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এর মধ্যে ২৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ রয়েছে। জনসংখ্যার বিবেচনায় এবারের জেলা কমিটির অকৃতি বাড়ানোসহ দলের সংগঠকদের নিয়ে জেলা কমিটি গঠন করা হবে বলে প্রত্যাশা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। দীর্ঘ ৭ বছর পরে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। করোনাকারীন বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে প্রতিদিন দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা ভিড় করছে জেলার দলীয় কার্যালয়ে।

তবে এই করোনা মহামারির বিধি-নিষেধের মধ্যেই এই সমম্মেলনের আয়োজন করাতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ সরকার দলীয় রাজনৈতিক দল না মেনে সম্মেলনের আয়োজন করছেন। সংক্রমণের কারণে সব সরকারি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম চলছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে চলছে প্রশাসনিক তৎপরতা ও জরিমানা। তবে কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে জেলার সম্মেলন প্রশ্ন সাধারণ সচেতন মহলের।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ