ঈশ্বরদীর আশিকুর রহমান স্বপন (৩৩) নামে এক যুবকের বগুড়ায় রহস্যজনক মৃত্যুর পর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বগুড়া শহরের ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত স্বপন উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দাদপুর বটতলা এলাকার মো. আসলাম প্রামাণিকের ছেলে এবং আরএফএল কোম্পানির বগুড়া বিক্রয় প্রতিনিধি।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৬ বছর পূর্বে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর আমসারদাইড় গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন প্রামানিকের মেয়ে এ্যানিকে ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করেন স্বপন। পালিয়ে বিয়ে করায় প্রথমে পরিবারের মধ্যে অভিমান থাকলেও পরে দুই পরিবারই তাদের মেনে নেয়। চাকুরির কারনে স্ত্রীকে নিয়ে স্বপন বগুড়াতে ভাড়া বাসায় থাকত। সেখানে এ্যানির একাকিত্বের কারনে প্রায় ২ বছর পূর্বে বগুড়া ছেড়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন এ্যানি। কিন্তু বাবার বাড়ি থেকে আর স্বামীর সংসারে ফেরানো যায়নি এ্যানিকে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২ বছরে নানা দরবার করেও এ্যানিকে ফেরাতে পারেনি স্বপন এবং তার পরিবার। তারই জের ধরে গত ৩ মাস পূর্বে এ্যানিকে তালাকের নোটিশ পাঠায় স্বপন। নোটিশের সুবাদে দুই পরিবারের সম্মতিতে গতকাল সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ্যানি ও স্বপনের সম্পর্কের ইতি টানতে উভয় পরিবারের আলোচনার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারনে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। দিন শেষে বিষাদ ভরা মন দিয়ে স্বপন কর্মস্থল বগুড়াতে ফেরত গেলে আজ মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা স্বপনের শয়ন কক্ষে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
স্বপনের খালাতো ভাই রিয়াদ জানান, বগুড়ায় স্বপনের ভাড়া বাসায় তার ঝুলন্ত মৃতদেহ স্থানীয়রা দেখে প্রশাসনসহ আমাদের জানান। আমরা মৃতদেহটি আনতে চেষ্টা চালাচ্ছি।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইকবাল মাহমুদ বলেন, স্বপনের তালাক হয়েছে প্রায় ৩ মাস আগে। তবে সেটা নিয়ে দুই পরিবারের গতকাল বসার কথা ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারনেই বসা হয়নি। তবে স্বপন হাসি মুখেই বিকেলে কর্মস্থল বগুড়ায় গিয়েছিল। কিন্তু এমন খবর আসবে এটা আমাদের প্রত্যাশার বাইরে। স্বপনের মৃত্যুটি রহস্যজনক এবং পরিকল্পিত হত্যা হতে পারে বলে দ্বিধা প্রকাশ করেন তিনি।