ঈশ্বরদী বিএনপির মধ্যে চলে আসা দীর্ঘদিনের গ্রæপিং রাজনীতি, কর্মসূচি পালন এবং প্রতিহিংসার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির পথে ঈশ্বরদী বিএনপি। সুত্র মতে, ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কারাবন্দি জাকারিয়া পিন্টুর নির্দেশনায় শহরে কর্মসূচিসহ শোভা যাত্রা করে বিএনপিসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আর পরের দিন ২ সেপ্টেম্বর জাকারিয়া পিন্টুর নির্দেশনাতেই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল রাজবন্দি ও জাকারিয়া পিন্টুসহ ঈশ্বরদী বিএনপির কারাবন্দি ৪৭ নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ওইদিন পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের নির্দেশনায় শোভাযাত্রার কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাখা হয় সজাগ দৃষ্টি। বিষয়টি পাবনা জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ জানতে পেরে এবং নিজ দলের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে ও সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীর মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। সেই উদ্যোগে শুক্রবার রাতে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের উপজেলার সাহাপুর মালিথাপাড়াস্থ নিজবাড়িতে জেলার নেতৃবৃন্দসহ উভয় গ্রুপের নেতাদের নিয়ে সমঝোতায় বসেন।
সব কিছু শুনে ও বিএনপির দূর্দিনে কর্মকান্ডে থেকে হামলা, মামলায় শিকার হওয়া ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাঁধ দিয়ে কোন রাজনীতি নয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে রাজনীতি করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে আগামী দিনগুলোতে দলীয় সকল কার্যক্রম ঐক্যবদ্ধভাবে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে উপস্থিত নেতারা হাবিবের বাড়ি ত্যাগ করেন।
বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ কর্মীদের দাবী, দলের শীর্ষ নেতা কান কথা বেশি শোনেন। এই জন্য ঐক্যবদ্ধতা কতদিন থাকে তা দেখার বিষয়।