ঈশ্বরদীতে ডাক্তারের গাফিলতিতে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ তুছেলে স্বজনরা। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় নবজাতক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত শিশুর পিতা মো. সুজন হোসেন।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পৌর শহরের আকলিমা সেবা ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার এবং থানায় অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সাহাপুর মন্ত্রীমোড় এলাকার সুজনের স্ত্রী ময়না খাতুন (২২) এর প্রসব বেদনা উঠলে তারা স্বজনদের সহযোগীতায় ঈশ্বরদী হাসপাতাল গেট সংলগ্ন আকলিমা সেবা ক্লিনিকে নিয়ে আসলে সংশ্লিষ্টরা তাদের দ্রুত ভর্তি হয়ে যেতে বলেন। উপায়ান্ত না দেখে তারা দ্রুত সেখানে ভর্তি হয়ে যান। এর পরই শুরু হয় ডাক্তার আসার কথা বলে কাল ক্ষেপন।
মৃত শিশুর পিতা মো. সুজন জানান, আমরা সকাল ১১ টায় ক্লিনিকে আসলে আল্ট্রাসনো করে আমাদের দ্রুত সিজারের কথা বলেন তারা। আমিও বাচ্চা এবং মায়ের ভালোর জন্য দ্রুত ভর্তি হয়ে যায়। তারপর থেকেই সেখান কার লোকজন আমার সাথে নানা ছল চাতুরী করতে থাকে। অবশেষে ডাক্তার রাবেয়া বসরি ক্লিনিকে আসেন ২ টা ৫০ মিনিটে। তারপর অপারেশন থিয়েটারে থেকে আমাকে মৃত বাচ্চা এনে দেন।
এসময় তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আকলিমা ক্লিনিক আর এর অব্যবস্থাপনার জন্যই আমার বাচ্চাটা মরেছে। তারা আমার বাচ্চাটিকে মেরে ফেলেছে। আমি এর সুস্থ্য বিচার চাই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আকলিমা সেবা ক্লিনিকের কর্মচারী জানান, তারা যখন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলো তখন সনো করে বাচ্চার হার্টবিটসহ সকল কিছু স্বাভাবিক ছিলো। তবে সিজারেরপর মরা বাচ্চা হয়েছে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ডা. রাবেয়া বসরি বলেন, ডাক্তাররা তো আজরাইল না যে কারো জান কবজ করবে! যদিও সুজন এবং ময়না দম্পত্তির এটা দ্বিতীয় সন্তান। প্রথম সন্তানের সময় ময়নার সিজার ছিলো । তাই দ্বিতীয়টার বেলাতেও তাদের বলেছিলাম নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা প্রসবের ঝুঁকি না নিতে। তারা আমার কথা না রেখে নরমালে প্রসবের চেষ্টা করতে সদর হাসপাতালে যান। সেখানে ব্যর্থ হয়ে শেষ সময়ে আমার কাছে আসেন। আমরাও নরমালে চেষ্টা করলে ময়নার পেটের সেলাই ফেটে বাচ্চা পেটের গভীরে চলে যায়। তখন অপারেশন থিয়েটার বিলম্ব হলে বাচ্চা মারা যায়।