শনিবার , ২৭ মে ২০২৩ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

মানুষ মানুষের জন্য, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন
ঈশ্বরদীতে অর্থাভাবে বন্ধ পাঁচ বছরের শিশু মারিয়ামের চিকিৎসা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মে ২৭, ২০২৩ ২:০৯ পূর্বাহ্ণ

পাঁচ বছরের শিশু মারিয়াম। এ বয়সে তার হেসে-খেলে বাড়ি মাতিয়ে রাখার কথা। কিন্তু তার উচ্ছলতা এখন বন্দি চার দেয়ালের মাঝে। অসুস্থতা কেড়ে নিয়েছে দুরন্ত শৈশব ও হাসিকান্না সবকিছু। বেঁচে আছেন জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে। কারণ জন্ম থেকেই মারিয়ামের হার্টে ছিদ্র।

চিকিৎসকদের পরামর্শে অপারেশনও করা হয়। এরপর শরীরে দেখা দেয় নানা রোগের উপসর্গ। ফুসফুসের জটিল সমস্যার পাশাপাশি প্রসাবের সঙ্গে রক্ত পড়াসহ নানা রোগে সে এখন শয্যাশায়ী। শুধু বিছানায় শুয়ে কাতরায় আর কাঁদে।

শয্যাশায়ী মারিয়াম এ অবস্থায় পাচ্ছে না মা আসমা খাতুন জান্নাতের সেবা-যত্ন। কারণ সেও নানা রোগে আক্রান্ত। লাঠি ভর দিয়ে চলাচল করতে হয়। এ অবস্থায়ই কাজ করছেন ঈশ্বরদীর আঞ্চলিক কৃষি ও ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে। মারিয়ামের জন্মের কিছুদিন পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিডনি, লিভার, ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি শাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ ভুগছেন জটিল রোগে। মা-মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব পরিবার। অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে মারিয়ামের বড় বোন ফাতেমার।

শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও কর্মস্থলে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেন জান্নাত। যে টাকা বেতন পান তার অধিকাংশই কেটে রাখেন আগেই চিকিৎসার জন্য নেওয়া ঋণের বিপরীতে। পরিবারে দুজন অসুস্থ মানুষ নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন জান্নাতের ঝালমুড়ি বিক্রেতা স্বামী সারফুল ইসলাম।

ঝালমুড়ি বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তা ব্যয় করতে হয় ওষুধ কিনতে। অনেক দিন ঘরে চাল-ডাল কেনার টাকাও থাকে না। শেষ সম্বল দুটি গরু বিক্রি করে স্ত্রীর চিকিৎসায় ব্যয় করেছেন। এখন আর তাদের চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। ঝালমুড়ি বিক্রির পাশাপাশি স্ত্রী-সন্তানের সেবা করেন তিনি।

জান্নাত বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে ১৪ বছর কর্মরত আছি। চাকরি পাওয়ার পর দিন ভালোই যাচ্ছিল। ২০১৭ সালে হার্টে ছিদ্র নিয়ে জন্মগ্রহণ করে আমার মেয়ে মারিয়াম। চিকিৎসকদের পরামর্শে ২০১৮ সালে তার হার্ট অপারেশন করা হয়। এরপর থেকে ফুসফুসে প্রদাহসহ নানা রোগ দেখা দেয়। পরে আমিও অসুস্থ হয়ে পড়ি। গচ্ছিত টাকাসহ ধার-দেনা করে চিকিৎসা বাবদ এ পর্যন্ত ১১-১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আর পারছি না। একদিকে খাওয়ার কষ্ট, অন্যদিকে অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পারার কষ্ট। সব মিলিয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছি।’

স্ত্রী-সন্তানের চিকিৎসা করানোর মতো এখন কোনো উপায় নেই বলেও জানান তিনি। এজন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। খোঁজখবর নিয়ে ও সহযোগিতা পাঠাতে ০১৭০৯ ২২৫ ১৩৪ পার্সোনাল বিকাশ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ