বুধবার , ২৪ মে ২০২৩ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে এবার ন্যায্যমূল্যে কোরবানির পশু বিক্রি করতে না পারার শঙ্কা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মে ২৪, ২০২৩ ১০:১৯ অপরাহ্ণ

ঈশ্বরদীতে দফায় দফায় গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে এবারো কোরবানির পশুর দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। খামারিরা জানান, দফায় দফায় বেড়েই চলছে গো-খাদ্যের দাম। চলতি বছর খামারিদের দৈনিক খাবার খরচ বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। এজন্য গো-খাদ্য মিলার ও কোম্পানির মালিকদের দুষছেন খামারিরা। গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানির পশু পালনে যে খরচ বেড়েছে সে অনুযায়ী ন্যায্যমূল্যে গরু বিক্রি করতে না পারলে খামারিদের লোকসানের শঙ্কা রয়েছে। তাই লোকশান এড়াতে কোরবানির হাট টার্গেট করেছেন খামারি-ব্যবসায়ীরা।

খামারিরা গত দুই বছরের গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ৩৭ কেজি ওজনের এক বস্তা গমের ভুসির এখন বাজারমূল্য ২ হাজার ২০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা, দুই বছর আগে ছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা। ৭৪ কেজির এক বস্তা খৈল ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ২ হাজার ৮০০ টাকা। ৫০ কেজি ওজনের ধানের গুঁড়ার বস্তা ৯০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৭০০ টাকা। প্রতি কেজি খড় ১৫ টাকা, আগে ছিল ১০ টাকা। এছাড়া খেসারি ও ছোলার ভুসির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। গত ১০ বছরে সাত থেকে আট দফা গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। খামার শ্রমিকদের দুই বছর আগে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেতন ছিল। এখন কোনো শ্রমিক ১৫ হাজারের নিচে কাজ করতে চায় না।

খরচ বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ খামার খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। এছাড়া ব্যাংক ও এনজিওর ঋণের অতিরিক্ত সুদ পরিশোধ ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা গরু পালন করে খুব একটা লাভের মুখ দেখছেন না।

ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ওয়ান স্টপ ক্যাটল র‌্যান্স ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী গোলাম কিবরিয়া সোহান বলেন, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা লাভবান হতে পারছে না। একটি উন্নত জাতের বাছুর কিনতে ১ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। সেটি দুই বছর লালন-পালন করে কোরবানির জন্য উপযোগী করা হয়। খামারে একটি ষাঁড় গরু একবছর পালন করতে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়। দুই বছর পালনে খরচ হয় প্রায় ৩ লাখ টাকা। বাছুরের মূল্যসহ খাবার খরচ হিসাব করলে গরুর মূল্য দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা।

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, যারা প্রকৃত খামারি তাদের গো-খাদ্যের চাহিদা মেটাতে উন্নতমানের ঘাসের আবাদ করতে হবে। এতে গো-খাদ্যের খরচ বেশ কমে যাবে। পাশাপাশি ঘাস গরুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ