শহরের গুরুত্বপূর্ণ ঈশ্বরদী উপজেলা সড়কটির অবস্থা এখন বেহাল। বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজনের বালুবোঝাই দশ চাকার ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটির এই দশা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের রেলগেট থেকে সিভিলহট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারের এই সড়ক ঈশ্বরদীর প্রধান কয়েকটি সড়কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে সংস্কার করার পর ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হয়। ধারণক্ষমতার বেশি ওজনের বালুবোঝাই দশ চাকার ড্রাম ট্রাক চলাচলের ফলে এটির এমন বেহাল দশা।
এই সড়কের পাশেই উপজেলা প্রশাসন, সাবরেজিস্টার কার্যালয়। গুরুত্বপূর্ণ এই দুই কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিদিন এই সড়কপথে যাতায়াত করে থাকেন। উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে সেবা নিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও এই সড়ক ব্যবহার করে থাকেন। ঈশ্বরদী ইপিজেডের কর্মচারী-শ্রমিকরা বিভিন্ন যানবাহনে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এ ছাড়া বিনোদনকেন্দ্র সাঁড়াঘাটে যাতায়াতেও প্রতিদিন শত শত মানুষ সড়কটি ব্যবহার করছেন। সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা হওয়ার কারণে তারা প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন। দুর্ঘটনায়ও পড়তে হচ্ছে যাত্রীসাধারণের।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ৫ কিলোমিটার সড়কজুড়েই বড় বড় গর্ত। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে পানি জমে যান চলাচলে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। যানবাহন চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহন চলাচল করছে। সড়কের পাশে বসবাসকারী কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সাঁড়াঘাট থেকে বালুবোঝাই ট্রাক ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। বিশেষ করে দশ চাকার ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটির এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
বাসিন্দা মিরাজ হোসেন বলেন, পাঁচ বছর ধরে সড়কের বেহাল দশা হলেও কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। ভারী যানবাহন চলাচলের সময় সড়কের পাশের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। ধুলোবালি উড়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, এই সড়কের যে বেহাল দশা তাতে যেকোনো সময় ট্রাক, অটোরিকশা উল্টে যাওয়ার ভয় রয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল কবির বলেন, ‘১৭ টন ওজনের যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে সড়কটি তৈরি করা হয়। অথচ ১০ ও ৬ চাকার ভারী ড্রাম ট্রাক ৩০ থেকে ৩৫ টন বালু ও মাটি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এ কারণে দিনে দিনে সড়কটির এ অবস্থা হয়েছে। রাজশাহী উন্নয়ন প্রকল্পে আরও চওড়া ও ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি (ক্যাপাসিটি বিল্ডিং) করে সড়কটি নির্মাণের আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন হলে চওড়া এবং মজবুত করে সড়কটি নির্মাণ করা হবে। তখন ভোগান্তি কমবে।’