সোমবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৩ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদী : ‘জন্মের ২০ দিনের মাথায় নাতিটা বাবা হারা হলো’

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ২৪, ২০২৩ ৭:১০ অপরাহ্ণ

‘আমার জামাই অজু করতে বসেছিল ইফতারের আগ মুহূর্তে। এ সময় পেছন থেকে চাপাতি দিয়ে কোপ দেয় তার ভাতিজা। ছেলে আমার ইফতার করতেও পারেনি। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলল। ২০ দিন আগে আমার মেয়ের সিজার (অস্ত্রোপচার) করে বাচ্চা হয়েছে। জন্মের ২০ দিনের মাথায় নাতিটা বাবা হারা হয়ে গেল। তার মোস্তাকিন নামে আড়াই বছরের সন্তান রয়েছে। আমাদের সব শেষ হয়ে গেল।’

রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত আফজাল হোসেনের (৩৫) শ্বশুর আব্দুর রহিম।

তিনি বলেন, গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামে জমি মাপামাপি হয়। এই বিরোধের জেড়ে প্রতিপক্ষ আমার জামাই আফজালকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনার পরে তাকে দ্রুত তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে দ্রুত আইসিইউতে নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু হাসপাতালে আইসিইউয়ের বেড ফাঁকা না থাকায়। তাকে লক্ষ্মীপুরে সিডিএম হাসপাতালের আইসিওইউতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরদিন আবার রামেক হাসপাতালে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঈদের দিন ভোরে তার মৃত্যু হয়।

আব্দুর রহিম বলেন, রোববার দুপুর ১২টার দিকে ময়নাতদন্ত হয়েছে। এরপর আমরা মরদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই। এ ঘটনায় শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈশ্বরদী থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

রামেক হাসপাতালের ডোম তপন কুমার বলেন, শনিবার ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লাশের কোনো স্বজন ছিল না। তারা ঈশ্বরদী থানায় মামলা করতে গিয়েছিল। আজ সকালে তারা এসেছিল। দুপুর দেড়টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিয়ে গেছে।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার পর আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ