দুই দিন ধরে একটি দামি বিলাসবহুল পড়ে ছিল। আজ শনিবার সকালে সেই গাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ভেতর থেকে বস্তাবন্দী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। আজ শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের সাদিপুর খেয়াঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন। তিনি বলেন, নিহত যুবকের নাম সম্রাট (২৬)। তিনি ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের মধ্য অরণকোলা (আলহাজ্ব ক্যাম্প) এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। রূপপুর প্রকল্পে ‘নিকিম’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালক। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানার পুলিশ সীমা খাতুন (২২) নামের এক নারীকে আটক করেছে।
কুমারখালী উপজেলা থেকে চরসাদিপুর ইউনিয়নকে পদ্মা নদী বিভক্ত করেছে। ইউনিয়নটি পাবনা সদর ও ঈশ্বরদী উপজেলাসংলগ্ন। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিকিম কোম্পানির পরিচালকের গাড়ির চালক ছিলেন সম্রাট। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রাডো গাড়ি নিয়ে অফিসে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফিরেননি। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা যায় সম্রাট নিকিম কোম্পানির আরেক গাড়িচালক উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামের আব্দুল মমিনের বাড়িতে গিয়েছিল। রাত ৯টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুল মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে আটক করে। একপর্যায়ে সীমা খাতুন স্বীকার করেন সম্রাটকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ বস্তায় ভরে গাড়িতে তুলে মমিন নিয়ে গেছে।
স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, গত বুধবার থেকে খেয়াঘাট এলাকায় গাড়িটি পড়ে ছিল। তাঁরা প্রথমে মনে করেছেন, গাড়ি রেখে পদ্মা পার হয়ে কেউ কাজে গেছেন। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
ওসি মহসীন হোসাইন বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও গাড়িটি দেখেছেন। তবে কেউ বেড়াতে এসেছেন ভেবে দেখে চলে যান। আজ খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়। গিয়ে ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে।