শনিবার , ২৩ অক্টোবর ২০২১ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে গণঅনশন ও বিক্ষোভ

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
অক্টোবর ২৩, ২০২১ ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিবাদে ঈশ্বরদী শহরের ১নং গেটে গণ-অনশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন ।বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা ও পৌর শাখা বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পৌর শাখা ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট সহ যৌথ ভাবে এই গণ অনশন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

আজ শনিবার ( ২৩ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু করা হয়।

উক্ত কর্মসূচিতে সাংগঠনিক উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কমিটির সভাপতি সন্তোষ সরকারের সভাপতিত্বে এই সভায় বক্তব্য রাখেন, পূজা উদযাপন পরিষদ ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটির সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী, হিন্দু মহাজোটের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল রায়, উদযাপন পরিষদ ঈশ্বরদী কমিটির সাধারণ সম্পাদক গণেশ সরকার, পৌর কমিটি র সাধারণ সম্পাদক তাপস সাহা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি বাবু পান্ডে, উৎপল সরকার, যুগ্ন সম্পাদক সুজয় কুন্ডু তাপস, পৌর শাখার সভাপতি পার্থ প্রতীম দাস , উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস, ঈশ্বরদী পৌর শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুন্ডু,তপতী লাহিড়ী, দিপু রায়, পাকশী হরিজন’ কলোনির দুলাল কর্মকার সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


উক্ত আলোচনা আরো বক্তব্য দেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস, সাবেক ভিপি মুরাদ মালিথা, আসাদুর রহমান বিরু, কবি এস এম রাজা,সহ আরো অনেক সম্প্রদায়ের মানুষ।


হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির, বাড়িঘর ও স্থাপনায় যেসব হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তার

সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে।

গত ১৩ই অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা পূজার সময় কুমিল্লার একটা পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়া যায়।

এরপরই দেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ এবং পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়।

যেসব স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও প্রতিমা ভাঙচুরের মতো ঘটনার ঘটেছে, সেখানে প্রতিবাদ হিসাবে এবারের কালীপূজা এবং দীপাবলি উৎসবের মত এই সহিংসতার সাথে যারা জড়িত তাদের কঠোর বিচার দাবী ঘোষণা করেন।

যে ব্যক্তি মন্দিরে কোরআন রেখেছিলেন বলে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশের পুলিশ। এই ঘটনা তার একার পক্ষে করা সম্ভব নয় বলে দাবি করেন এই বক্তারা।

প্রতিবাদে সরকারের যে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছন, সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন ও সাম্প্রদায়িক চক্রান্তের প্রতিরোধে এই কর্মসূচি পালন মাধ্যমে যৌথ পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এই সময় নেতাকর্মীরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাস সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করা সহ পাঁচ দফা দাবি জানান। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ডাকে কর্মসূচিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টু খেলা ঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসানুজ্জামান, হিন্দু মহাজোট উপজেলা কমিটির সভাপতি আশুতোষ পাল হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার রায় পৌর সাধারণ সম্পাদক সুকুমার চক্রবর্তী পূজা উদযাপন পরিষদ পৌর কমিটির সভাপতি প্রশান্ত কুন্ডু হারু শিবু কর্মকার মহাজোট পৌর কমিটির সভাপতি উত্তম সাহা সাধারণ সম্পাদক সুমন সাহা রাজেশ সরাফ সহ কয়েকটি হিন্দু সংগঠনের চার শতাধিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক গোপাল অধিকারি পরিচালনায় বিক্ষোভ হিংস্রতার বিচার দাবি করা হয়। দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের কথা বলা হয়।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ