লাঙ্গল প্রতীক : ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট
হাতপাখা প্রতীক : ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট
হাতি প্রতীক : ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট
নৌকা প্রতীক : ২২ হাজার ৩০৬ ভোট
ক্ষমতায় থেকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিপক্ষের কাছে আওয়ামী লীগের হারের রেকর্ড খুব কম। সবশেষ ২০১৮ সালে সিলেট সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর কাছে নাটকীয়ভাবে হেরেছিল দলটির প্রার্থী। এরপর বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একচেটিয়া জয় পায় আওয়ামী লীগ। তবে এবার রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোটে জাতীয় পার্টির কাছে শোচনীয়ভাবে হেরেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। ফলে দ্বিতীয় দফায় মেয়র হলেন জাপার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।
সবকটি (২২৯) কেন্দ্রের ফলাফল শেষে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট। তাঁর নিকট প্রতিদন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পেয়েছে ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) লতিফুর রহমান মিলন হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হোসনে আরা লুতফা ডালিয়া নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ও রংপুর সিটি নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন এ ফলাফল ঘোষণা করছেন।
ভোটের মাঠে মেয়র পদে লড়েছে ৯ জন। অন্য প্রার্থীদের মধ্য বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৪৯ ভোট, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন (গোলাপ ফুল) পেছেছেন ৫ হাজার ৮০৯, বাংলাদেশের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান (মশাল) পেয়েছেন ৫ হাজার ১৫৬, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু (দেয়ালঘড়ি) পেয়েছেন ২ হাজার ৮৬৪, মেহেদী হাসান বনি (হরিণ) পেয়েছেন ২ হাজার ৬৭৯ ভোট।
নিজ কেন্দ্রে ডালিয়ার নৌকাডুবি
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে নিজ কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলে হেরেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।
নগরীর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী পেয়েছেন ৯২ ভোট। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছে ১৬৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন হাতী প্রতীকে পেয়েছেন ১৪৪ ভোট।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় মহানগর এলাকায় মোট ২২৯টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও অনেকে ভোট দিতে না পারায় সময় বাড়ান হয়।