সোমবার , ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীর পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বিলীন হচ্ছে চাষের জমি

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
ডিসেম্বর ১২, ২০২২ ৩:২০ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীর পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বিলীন হচ্ছে চাষের জমি

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থিত পদ্মা নদীর মোল্লারচর। এই চরের কয়েক হাজার বিঘা চাষের জমিতে ধান, গম, ভুট্টা, বাদাম, আলু, মিষ্টি কুমড়া, কলা, বেগুন, মুলা, গাঁজর, ধনেপাতা, আখ ইত্যাদির চাষ হয়। এই অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান ক্ষেত্র চরের এই জমি। কিন্তু এই চর ঘেঁষেই অবৈধভাবে কয়েক শ ড্রেজার (খননযন্ত্র) দিয়ে দিনরাত বালু তোলা হচ্ছে। এতে এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে বহু জমি। হুমকিতে রয়েছে বাকি আবাদি জমিও।

সরেজমিনে এসব এলাকায় গিয়ে বালু তোলায় ব্যবহূত ড্রেজারবাহী নৌকার শ্রমিক, বালু ব্যবসায়ী ও বালু নৌকা থেকে চাঁদা আদায়কারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরের মাঝামাঝিতে পদ্মা নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তোলার জন্য সরকারি অনুমোদন পান নাটোরের লালপুর-বাগাতিপাড়ার সংসদ সদস্য। তাঁর সঙ্গে রয়েছে কুষ্টিয়া ভেড়ামারা এলাকার প্রধান বালু ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার ভাগ্নে। আর ঈশ্বরদী থেকে রয়েছেন সাঁড়া ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার। নকশা অনুসারে নাটোরের লালপুর, ভেড়ামারা ও ঈশ্বরদীর ত্রিমুখী অবস্থান থেকে বালু তোলার অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান রানা সরদারের লোকজন সেই অনুমোদনের কাগজ নিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছেন ঈশ্বরদীর আবাদি চর ঘেঁষে।
সূত্রগুলোর মতে, রানা সরদারের নির্দেশে তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন অর্ধশতাধিক ড্রেজারবাহী নৌকা লালপুর সীমানা থেকে বালু তোলা হচ্ছে। ওই নৌকাগুলোই ধীরে ধীরে ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের ইসলামপাড়া ও সাঁড়া মৌজায় এসে বালু তোলে। কারণ সেখানে রয়েছে মোটা বালু। তবে দিনের বেলায় ওই এলাকায় সাংবাদিকদের আনাগোনা দেখলেই নৌকাগুলো লালপুরের দিকে চলে যায়।

সাঁড়া ইউনিয়নের ইসলামপাড়া মৌজার খাঁপাড়ার বাসিন্দা ও চরের জমিতে আবাদকারী কৃষকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার অর্ধশতাধিক ড্রেজার দিয়ে তাঁদের চরের ফসলি জমি ঘেঁষে বালু তুলছেন। এতে চরের জমি ভেঙে ফসলসহ নদীতে বিলীন হচ্ছে। কৃষকরা প্রতিবাদ করলেই সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনীর নির্যাতন নেমে আসে তাঁদের ওপর। এ কারণে শেষ অবলম্বন চরের আবাদি জমি হারিয়েও নির্বিকার তাঁরা।

তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, অভিযোগগুলো মিথ্যা।

পদ্মার ঈশ্বরদী পয়েন্ট থেকে বালু তোলা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে গত রবিবার পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, ‘পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে ইজারাদারি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’

সূত্র : দৈনিক কালেরকণ্ঠ

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ