বৃহস্পতিবার , ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প উৎপাদন শুরু করলে বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে ১৮ লাখ পরিবার

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১ ২:৩৭ অপরাহ্ণ

নৌরূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প (আরএনপিপি) উৎপাদন শুরু করলে দেশের ১৮ লাখ পরিবার সহজ লভ্যে বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে। একই সঙ্গে দুই হাজার ৫০০ জন দক্ষ এদেশীয় জনবল কাজের সুবিধা পাবে। যদিও এখন প্রকল্প নির্মাণ কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ হাজার পরিবার জড়িত রয়েছে। প্রকল্পটি সুষ্টুভাবে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এক হাজার ৪২৪ জনকে বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।


রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র পরিচালনায় ১৩ হাজার জনশক্তির প্রয়োজন হবে
ঈশ্বরদীর রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় দক্ষ ও পরোক্ষ প্রায় ১৩ হাজার জনশক্তির প্রয়োজন হবে। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদীতে পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে রূপপুর এনপিপি নির্মাণের অবদান” শীর্ষক সেমিনারে বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় আরো বলা হয় বর্তমানে নির্মাণ কাজে প্রায় ২১ হাজার জনশক্তি নিয়োজিত রয়েছে।


আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঈশ্বরদী পৌরসভার দ্বিতীয় তলায় পারমাণবিক তথ্য সেন্টারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, রসাটমের নিউক্লিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার ভূমিকা ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে চলমান প্রকল্পের বাস্তবতায় নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা এসব তথ্য জানানো হয়।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প (আরএনপিপি) নির্মাণ ঠিকাদার রাশিয়ার রসাটমের এটোমস্ট্রোয়একপোর্ট (এএসই) উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মান ও রসাটমের নিউক্লিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার ভূমিকা ও বিশ্বের অন্যান্য কয়েকটি দেশে চলমান তাদের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে তুলনামূলক বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়।

মতবিনিময় সভায় রাশিয়ান বিশেষজ্ঞরা বলেন, উৎপাদন শুরুর পর প্রকল্পের মুল চুল্লির মাত্র ৩০০ মিটারে পরই ফসল চাষাবাদ ও জনগণ বসবাস করতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না। প্রকল্পের জন্য তাপমাত্রারও কোনো পরিবর্তন হবে না। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরএনপিপির প্রকল্পের অনুরূপ অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ রাশিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।

আরএনপিপি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ২০২০ সালে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বমোট ৫৭৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৮৫০ জনকে রাশিয়ান ফেডারেশনে এবং ৫৭৪ জনকে রাশিয়ান ফেডারেশনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। একই সময় ২৮৪ জনকে প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ শেষ করে ৭৫ জন ইতিমধ্যে দেশে ফিরে এসেছেন।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য রাশিয়ান সরকার প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ২০-৩০ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষ বৃত্তির মাধ্যমে মস্কো ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্স ইনস্টিটিউট শিক্ষার সুযোগ প্রদান করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিউক্লিয়ার সম্পর্কে শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে চুক্তি করা হয়েছে। যাতে দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু করতে পারে।

আরএনপিপির ১২শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে এবং একই উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্বাভাবিকভাবে ৬০ বছরের অধিক সময় ধরে উৎপাদন করবে। এরপর কিছু মেরামত কাজ সম্পন্ন করে এই কেন্দ্রের উৎপাদন আয়ুষ্কাল ১০০ বছর বাড়ানো সম্ভব হবে বলেও বিশেষজ্ঞা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এই সময় আরএনপিপি নির্মাণ কাজের মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এটোমস্ট্রোয়এক্সপোর্ট (এএসই) কমিউনিকেশনস ডিপার্টমেন্টের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট নাতালিয়া গঞ্জারোভা, এএসই প্রধান বিশেষজ্ঞ কনস্টান্টিন ফোকিন, এএসই বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি কনস্টান্টিন ফেটস, আলেক্সজান্ডার বাইবাকোভ এবং এনপিসিবিএল এর জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী মো. ইকবাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ