আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গোৎসব। পঞ্জিকা অনুযায়ী, ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে হয়েছে বোধন। ২ অক্টোবর সপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে দুর্গোৎসবের মূল আচার অনুষ্ঠান। ৫ অক্টোবর মহাদশমীতে বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। এ বছর মহালয়া অনুষ্টিত হয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর।
ঈশ্বরদী পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে সনাতন ধর্মালম্বীরা। মন্দিরে মন্দিরে চলছে পূজার শেষ সময়ের সার্বিক প্রস্তুতি। গত বছর ঈশ্বরদীতে মোট ৩০ টি পূজা মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। চলতি বছর ঈশ্বরদী ও উপজেলার সাত ইউনিয়নে ২৯টি মন্দিরে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় রয়েছে ৮টি মন্দির। সাঁড়া ৫, পাকশী ৩, সাহাপুর ২, ল²ীকুন্ডা ২, দাশুড়িয়া ২, সলিমপুর ১ ও মুলাডুলি ইউনিয়নে রয়েছে ৬টি মন্দির।
সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যেপূজা পরিচালনা কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়েছে নানা প্রস্তুতি। অন্যদিকে পুজা উপলক্ষে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে চলছে নানা আয়োজন।
শহরের কর্মকারপাড়া মাতৃমন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী মাধব চন্দ্র পাল বলেন, মন্দিরে পূজার আগমন ও পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। সবকিছুই ভালভাবে এগুচ্ছে। পূজা উদযাপন ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। আশা করি সকলের সহযোগিতায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট গোপাল অধিকারী বলেন, ঈশ্বরদীতে আমরা সম্প্রীতির সাথে বসবাস করি। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সম্প্রীতির সাথে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলেই প্রত্যাশা করছি।
ঈশ্বরদী উপজেলা হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক দেবদুলাল রায় বলেন,আমরা বাঙালি, বাংলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী প্রতিটি উৎসবকে সংস্কৃতিতে রূপান্তরিত করার চেতনাই সামাজিক সম্প্রীতি, বাঙালির উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সোহার্দ্য সম্প্রীতির ঐক্যে বন্ধন আসুন আমরা সবাই এই বাঙালির ঐক্যের বন্ধনের উৎসব কে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উপভোগ করি।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে কয়েকদফা বৈঠক করা হয়েছে। আশা রাখছি প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করব।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, শারদীয় উৎসব নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে করতে পুলিশ প্রশাসন সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছে। শারদীয় উৎসবের প্রতিদিন টহল পুলিশ অব্যাহত থাকবে এবং সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনী অবস্থান করবে।