এক মাস আগে প্রতিবেশী সাইদার মোল্লার কাছ থেকে দুটি মোরগ কেনেন মনিরুল ইসলাম। কিছুদিন আগে একটি মোরগ জবাই করে খেয়েছেন। সম্প্রতি আরেকটি মোরগ জবাই করতে গেলে সেটি ‘আল্লাহ আল্লাহ’ বলে ডাকাডাকি শুরু করে। ফলে মোরগটি মূল মালিক সাইদার মোল্লাকে ফেরত দিয়েছেন মনিরুল ইসলাম।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মানিকৈড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকেই মোরগটি ‘আল্লাহ আল্লাহ’ বলে ডাকছে। মোরগটি দেখতে সাইদার মোল্লার বাড়িতে অসংখ্য মানুষ ভিড় করছে।
প্রতিদিন ঈশ্বরদীসহ দূরদূরান্ত থেকে এসে মানুষ মোরগটি এক নজর দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। তবে দিনের বেলায় মোরগটি খোলা মাঠে খাবারের জন্য ছেড়ে দেওয়ায় অনেকেই না দেখেই ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে মোরগটি দেখে বাড়িতে ফিরছেন। অনেকে মোরগটি কেনার জন্য প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দামও বলে যাচ্ছেন। যত দামই হোক মালিক মোরগটি বিক্রি করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
সাইদার মোল্লার স্ত্রী নুরজাহান বেগম বলেন, সংসারে বাড়তি আয়ের জন্য আমরা মোরগ-মুরগি লালনপালন করি। আমাদের বেশ কিছু মোরগ-মুরগি ছিল। এক মাস আগে সেগুলি বিক্রি করে দিয়েছি। এর মধ্যে দুটি পাশের বাড়িতে বিক্রি করি। তারা একটি জবাই করে খেয়েছে। যখন এইটা জবাই করতে গেছে তখন মোরগটি ‘আল্লাহ আল্লাহ’ বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় তারা মোরগটি জবাই না করে আমাদের ফেরত দিয়েছে।
সাইদার মোল্লা বলেন, ‘আল্লাহ আল্লাহ’ বলে ডাকার পর থেকেই অনেকেই আমার মোরগটি কিনতে চেয়েছে। কিন্তু মোরগটি আর বিক্রি করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মোরগটি যতদিন পর্যন্ত বাঁচবে ততদিন পর্যন্ত আমার কাছেই থাকবে। মোরগটি দেখার জন্য অনেকেই ভিড় করছেন বলেও জানান তিনি।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বকুল সরদার বলেন, আমি লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি তবে কর্মব্যস্ততার জন্য যেতে পারিনি। এক সময় নিজেই ওই মোরগের কণ্ঠে আল্লাহ ডাক শুনতে যাব। এটি আমাদের এলাকায় এর আগে ঘটেনি। বিস্ময়কর মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আল-মাহমুদ হোসেন মণ্ডল বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি, কিন্তু এখনো সরেজমিন দেখিনি। এটি একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। এটির বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা নেই। তবে হরমন বা অলৌকিক কারণে এমনটি হতে পারে।