মঙ্গলবার , ১৬ আগস্ট ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

পদ্মার ভাঙন ঠেকাতে চরাঞ্চলে শুরু হচ্ছে ড্রেজিং

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
আগস্ট ১৬, ২০২২ ১:৫০ অপরাহ্ণ
পদ্মার ভাঙন ঠেকাতে চরাঞ্চলে শুরু হচ্ছে ড্রেজিং

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চরাঞ্চলে পদ্মার ভাঙন ঠেকাতে ড্রেজিং করতে চায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এক মাসের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে এ উপজেলার আলাইপুর থেকে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ল²ীনগর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার নদী খননের কাজ। এরইমধ্যে চরাঞ্চল পরিদর্শন করেছেন পাউবো কর্মকর্তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজপুর ইউনিয়নের পদ্মার তীর রক্ষার্থে প্রস্তাবিত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধ অর্থাৎ টি-বাঁধ ও আই-বাঁধের মতো করে এ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এজন্য তাদের একটি দল এরইমধ্যে বাঘায় গিয়ে এ চরাঞ্চল এলাকাও পরিদর্শন করেছেন বলে উল্লেখ করেন।

পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, নদীর ড্রেজিং অর্থাৎ খনন কাজ শেষ হলে মূল স্রোতধারা নদীর কেন্দ্র বরাবর প্রবাহিত হবে। এ পয়েন্টে পদ্মা নদী আবারও নাব্যতা ফিরে পাবে। এতে ভাঙন অনেকাংশে কমে আসবে। এর সঙ্গে পদ্মা তীর রক্ষার্থে স্থায়ী বাঁধ, স্পার, টি-বাঁধ, আই-বাঁধ নির্মাণ হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

এদিকে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, রাজশাহীর চারঘাটের ইউসুফপুর থেকে শুরু হয়ে বাঘা উপজেলার আলাইপুর হয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ল²ীনগর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার নদী ড্রেজিংয়ের কাজ করা হবে। এছাড়া ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে চারঘাট ও বাঘা উপজেলার পদ্মার বাম তীরের স্থাপনাসমূহে নদী ভাঙন রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রাজশাহীর এ দুই উপজেলায় ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯টি প্যাকেজের কাজ চলছে। এরমধ্যে ১১টি প্যাকেজ প্রটেকশন বøকের ও ৮টি প্যাকেজ নদী ড্রেজিংয়ের কাজ রয়েছে। নদী শাসনের জন্য ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের মধ্যে বাঘার ১২ কিলোমিটার নদী ড্রেজিংও রয়েছে।

এরাই মধ্যে পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে ৮ মাসের মধ্যে প্রায় আড়াইশ’ মানুষের বাড়ি-ঘর ও কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এখন আবারও পদ্মায় পানি বাড়ছে। তার সঙ্গে ভাঙনও চলছে। পদ্মা তীর রক্ষায় কাজ শুরু হলে নদী ভাঙন কমে আসবে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ