মঙ্গলবার , ১৬ আগস্ট ২০২২ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

মর্গে স্বজনদের মরদেহের জন্য অপেক্ষায় সেই নবদম্পতি

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
আগস্ট ১৬, ২০২২ ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ
মর্গে স্বজনদের মরদেহের জন্য অপেক্ষায় সেই নবদম্পতি

রাজধানীর উত্তরায় বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসড়কের গার্ডারের চাপায় নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ নিতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনেরা। অপেক্ষা করছেন ওই দুর্ঘনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া হৃদয়- রিয়া দম্পতি। মঙ্গলবার দুপুরে মর্গের সামনে তাদের আহাজারি করতে দেখা যায়। নিহতদের স্মৃতিচারণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাদের স্বজনরা।

দুর্ঘটনায় নিহত রুবেল হাসানের স্ত্রী রেহেনা আক্তার বিলাপ করে বলেন, ‘আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই। বিচার ছাড়া তো আর কিছু চাওয়ার নেই। আমি চাই, আমার মতো এমন ঘটনা যেন আর কারও জীবনে না ঘটে।’

সোমবার বিকেল সোয়া ৪টায় উত্তরার জসীমউদ্দীন এলাকায় নির্মাণাধীন বিআরটি ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন নিহত হন। তারা হলেন, রুবেল হাসান (৬০), হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা খাতুন (৪০), ফাহিমার বোন ঝরনা আক্তার (২৮) এবং ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। প্রাইভেটকারে থাকা নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়াকে উদ্ধার করে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মর্গের সামনে স্বজনদের মরদেহ নেওয়ার অপেক্ষায় হৃদয় ও রিয়া দম্পতি


দু’দিন আগেই গাঁটছড়া বাঁধেন রেজাউল করিম হৃদয়। নববধূসহ স্বজনদের নিয়ে প্রাইভেটকারে যাচ্ছিলেন রাজধানীর অদূরে আশুলিয়ার শ্বশুরবাড়িতে। গাড়ি চালাচ্ছিলেন হৃদয়ের বাবা রুবেল হাসান। উত্তরার জসীম উদ্‌দীন সড়কে যেতেই বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ৮০ টন ওজনের গার্ডার চাপা পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায় ওই প্রাইভেটকার। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান পাঁচজন। আহত হলেও বেঁচে যান নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া মনি।

তারা ঢাকায় একটি বউভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন। ঢাকা থেকে গাজীপুরের দিকে চলন্ত অবস্থায় প্রাইভেট কারের ওপর গার্ডারটি পড়ে।

পুলিশ বলছে, বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলার সময় ক্রেন দিয়ে একটি গার্ডার ওপরে ওঠানো হচ্ছিল। ক্রেন উল্টে সেটি প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে। গার্ডার পড়ে প্রাইভেট কারটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছিলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়িতে আটকে পড়া পাঁচজনকে উদ্ধার করা গেলে অন্তত এক শিশুকে হয়তো বাঁচানো যেত। কারণ দীর্ঘ সময় ভেতর থেকে এক শিশুর কান্না ভেসে আসছিল। অনেক চেষ্টা করেও কেউ সহায়তা করতে পারছিলেন না।

হৃদয়ের খালাতো ভাই রাকিব হোসেন জানান, গত শনিবারই হৃদয়-রিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রীসহ স্বজনদের নিয়ে আশুলিয়ায় শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন হৃদয়। পথেই ঘটল এমন মর্মস্পর্শী ঘটনা।

রাকিব বলেন, ‘বিয়েবাড়ির আনন্দ উৎসব এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যেই পুরো পরিবারে বিভীষিকা নেমে এসেছে। কিছু বলারও ভাষা নেই আমাদের।’

স্বজনরা জানান, হৃদয়ের বাড়ি মেহেরপুর, শ্বশুরবাড়ি জামালপুরের ইসলামপুরে। খিলক্ষেতের কাওলা এলাকা থেকে তাঁরা সবাই আশুলিয়া যাচ্ছিলেন।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!