কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা চলন্ত বাস কব্জায় নিয়ে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিন/চার জন টাঙ্গাইল জেলার।বাকিরা বিভিন্ন জেলার অধিবাসী। তবে তারা বসবাস করেন গাজীপুর, চন্দ্রা ও সাভার এলাকায়। এই চক্রের অন্যতম সদস্য রাজা মিয়াকে গোয়েন্দা পুলিশ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোরে গ্রেফতার করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া ডাকাতি ও ধর্ষণে অংশে নেওয়া সবার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছেন। ঘটনার দিন ঈগল পরিবহনের চালককে সরিয়ে ডাকাতরা বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে রাজা মিয়া ডাকাতি ও ধর্ষণ চলাচলে বাস চালিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজা মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্র এর আগে আর কোথায় কোথায় এ ধরনের অপরাধ করেছে এবং আর কত সদস্য রয়েছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাজাকে প্রথমে চিহ্নিত করা হয়। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুরের রক্তিপাড়ায় বাসটি রাত তিনটার পর খাদে পড়ে যায়। ওই এলাকার মোবাইল টাওয়ারে ঘটনার পর কোন কোন নাম্বার থেকে কোথায় ফোন করা হয়েছে তার সন্ধান করা হয়। সেখানে একটি নাম্বার থেকে বেশ কয়েকটি নাম্বারে ফোন করার তালিকা পাওয়া যায়। বিভিন্ন নাম্বারে ফোন করা নাম্বারটি অনুসন্ধান করে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে সেটি রাজা মিয়ার নাম্বার। পরে রাজা মিয়া এবং যে সব নাম্বারে তিনি ফোন করেছিলেন তাদের ছবি সংগ্রহ করে গোয়েন্দা পুলিশ। সেই ছবি ঈগল পরিবহনে ডাকাতির শিকার হওয়ার যাত্রী ও বাসের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে দেখানো হয়। তারা রাজা মিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করেন।
জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, গত এক বছরের মধ্যে এই মহাসড়কে সড়ক ডাকাতির কোনো ঘটনার ব্যাপারে মামলা হয়নি। তাই এই চক্র এর আগে এ এলাকায় আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, ডাকাতের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। গ্রেফতার হলে এ চক্রের বিষয়ে জানা যাবে।