মঙ্গলবার , ৫ জুলাই ২০২২ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীর ‘পাগলা রাজা’ বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রেজাউল

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
জুলাই ৫, ২০২২ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ
ঈশ্বরদীর ‘পাগলা রাজা’ বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রেজাউল

ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মাড়মি গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম। গত ৪ বছর ধরে একটি ষাঁড় পুষছেন। শখ করে গরুটির নাম রেখেছেন ‘পাগলা রাজা’। দেশীয় পদ্ধতিতে ছোলা, গমের ছাল, খেসারি, ভুট্টার আটা, ধানের কুড়া, কাঁচা ঘাস ও খড় খাওয়ান। তাকে সুস্থ্য রাখতে প্রতিদিন ২-৩ বার গোসল করানো, নিজ হাতে খাওয়ানোর কাজটা রেজাউল ও তার স্ত্রী আসমা খাতুন নিজেই করেন। পাগলা রাজা যেন গরমে কষ্ট না পায় সেজন্য তার মাথার উপরে ঘরের চালায় লাগানো আছে ফ্যান।

বিদ্যুৎ চলে গেলে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করা হয় তাকে। প্রতিদিন এই পাগলা রাজার পেছনে খরচ হচ্ছে প্রায় ৭০০ টাকা। ২০১৮ সালে ঈশ্বরদীর অরনকোলা হাট থেকে আড়াই মন ওজনে কেনা এই ষাঁড়টির ওজন এখন প্রায় ৩৫ মন। গত ৪ বছর ধরে তিলে তিলে কষ্ট করে এবারের ঈদুল আজহার আগে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করা হলেও ভাল দাম পাওয়ার আশা ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে রেজাউলের।

প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করছেন এক নজর ‘পাগলা রাজা’ কে দেখতে। এই গরুর পেছনে গত ৪ বছরে যে খরচ হয়েছে সেসব হিসেব করে গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১১ লাখ টাকা কিন্তু কাক্সিক্ষত দাম এখনো বলেনি কোন ক্রেতা কিংবা ব্যাপারি। রেজাউল ইসলাম বলেন, এ গরুটি ক্রয় থেকে শুরু করে তার পেছনে যে শ্রম ও খরচ হয়েছে তাতে ১০ থেকে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি হলে খরচের টাকাটা ঘরে আসবে।

আমিরুল ইসলাম নামে এক গরুর ব্যাপারী বলেন পাবনা জেলায় এর চেয়ে বড় গরু আমি এবার এখনো দেখিনি। আরেক গরুর ব্যপারি মান্নান হোসেন বলেন এই গরুর ওজন প্রায় ৩৫ মন হবে এমনটাই ধারনা করছি।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ