ঈশ্বরদীতে পুলিশ দেখে বোরকা পড়ে দৌঁড়ে পালানোর সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার নামীয় আসামী নাসিমা বেগমকে তেড়ে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এসময় মোঃ রাজু আহম্মেদ নামে আরেক ছাত্রলীগ নেতাও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
শনিবার(২৫ জানুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার মধ্য অরোনকোলা এলাকার নিজ বাড়ির সামনে থেকে নাসিমা বেগম ও বিকেল ৪ টার দিকে বাঘইল এলাকা থেকে ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নাসিমা বেগম ওই এলাকার মোঃ আব্দুস সালামের স্ত্রী ও উপজেলা মহিলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন এবং রাজু আহম্মেদ উমিরপুর এলাকার মোঃ গোলাম রসুলের ছেলে ও পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
জানা গেছে, ৫ আগষ্টের পর থেকেই তারা বাড়ি থেকে পলাতক। ব্যক্তিগত কাজে বোরকা পরিধান করে নাসিমা বেগম বাড়িতে আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হওয়া মাত্র সে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাকে তেড়ে ধরে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত নাসিমা বেগম গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতকর্মীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে লাঠি হাতে নিয়ে হামলার অভিযোগ রয়েছে। তার লাঠি হাতে ছাত্র জনতার সঙ্গে মারমুখী আচরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, গত ১০ বছর আওয়ামীলীগের প্রভাব দেখিয়ে এলাকার মধ্যে নানা অপকর্ম করেছে এই নাসিমা বেগম। তার বাড়ি ছিল নিয়মিত মাদক ও নারী ব্যবসার অভয়ারণ্য। কেউ কিছু বললে তাকে দলের প্রভাব দেখিয়ে নানা হুমকি ধামকি দিত।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলায় গ্রেফতারকৃত দুজন আসামীকেই আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।