বুধবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | ৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদী ও পাকশী রেলওয়ে বেদখল হচ্ছে রেলের জমি

প্রতিবেদক
আমাদের ঈশ্বরদী রিপোর্ট :
অক্টোবর ১৬, ২০২৪ ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

দখল ।

ঈশ্বরদী রেলস্টেশনের পশ্চিম পাশে শত শত রেলওয়ে কোয়ার্টার অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে।

পাবনার ঈশ্বরদী ও পাকশীতে বিপুল পরিমাণ রেলের জমি দীর্ঘদিন ধরে বেদখলে রয়েছে। বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলের ব্যক্তিরা নানা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে এসব জমি দখলে নেন। এরপর সেখানে ছোট-বড় ভবন, বিপণিবিতান এবং হোটেল নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়াও রেলের জমিতে গড়ে উঠে বস্তি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কার্যালয়। অথচ এসব জমি উদ্ধারে স্থানীয় রেল প্রশাসনের কোনো তৎপরতা নেই।

পাকশী রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাকশী শহর ও ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকার রেলওয়ের জমির পরিমাণ ৩ হাজার ৬ দশমিক ১২ একর। এর মধ্যে পাকশী স্টেশন এলাকায় জমি রয়েছে ২ হাজার ১৯৪ দশমিক ৮ একর এবং ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় জমির পরিমাণ ৮১১ দশমিক ৩২ একর। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে প্রভাবশালী মহল ও ক্ষমতাসীনদের দাপটে পাকশীর ১৪ একর এবং ঈশ্বরদীতে ৭৮ দশমিক ৯১ একর রেলওয়ের জমি বেদখলে চলে গেছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ১৯৮২ সালে ৩ জুন থেকে বাংলাদেশে রেলওয়ে বোর্ড প্রথা বিলুপ্ত হয়। পরে এর কার্যক্রম যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের রেল বিভাগের ওপর ন্যস্ত হয়। বোর্ড প্রথা বাতিলের পর থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো ঈশ্বরদী ও পাকশীতে রেলের জমির দখল প্রক্রিয়া জোরদার হয়। বিশেষ করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দলের প্রভাবশালী নেতা-কর্মীদের ছত্রছায়ায় রেলের এসব জমি দখল হতে থাকে। স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়াও অন্যরা বছরের পর বছর রেলের জমি দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। এতে দিন দিন দখল ও বেদখল জমির পরিমাণ বাড়ছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের ধারণা, উদ্ধার অভিযানে রেল সংশ্লিষ্টদের মাথা ব্যথা কম। অনেক সময় পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি অফিস থেকে বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে আবার কারও কারও অনুরোধে সেটা বন্ধ রাখা হয়।

স্থানীয়দের মতে, বিভিন্ন সময় রেলের অভিযানে সামান্য কিছু দোকানপাট এবং জমি উদ্ধার হলেও আবার সেগুলো বেদখলে চলে যায়। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, রেললাইনের দুই পাশে ১০ ফুট করে জায়গা খালি রাখার নিয়ম থাকলেও ঈশ্বরদী এবং পাকশীতে রেললাইন ঘেঁষে স্থাপনা গড়ে উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দখলদাররা রেলের জমিতে পাকা-আধাপাকা দোকান নির্মাণ করে বিক্রি করছেন। অথচ রেল আইনে উল্লেখ রয়েছে, রেল থেকে নেওয়া ইজারা সম্পত্তির শ্রেণি পরিবর্তন ও আধাপাকা বা পাকা ভবন নির্মাণ করা যাবে না। শুধু কৃষিকাজে এ জমি ব্যবহার করা যাবে। ঈশ্বরদী ও পাকশীতে শত শত রেলওয়ের কোয়ার্টার বেদখল হয়ে আছে। দখল করা কোয়ার্টারের সংখ্যা ৯৯০টি। এর মধ্যে পাকশী ৭৫৮টি এবং ঈশ্বরদীতে রয়েছে ২৩২টি। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন থেকে এসব কোয়ার্টার অবৈধভাবে দখল করে এক শ্রেণির মানুষ বসবাস করছে।

রেলের কর্মকর্তারা জানান, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সহযোগিতায় দখলদাররা রেলের জমি থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে আসছেন।

ঈশ্বরদী ফিল্ড কানুনগো কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঈশ্বরদীতে রেলওয়ে জমির পরিমাণ ৮১১ দশমিক ৩২ একর। এর মধ্যে বেদখল হয়ে আছে ৭৮ দশমিক ৯১ একর জমি। এসব জমি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রভাবশালীদের কারণে দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া লোকবল সংকটের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনাও করা যাচ্ছে না।’

পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়ের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘শুধু ঈশ্বরদী-পাকশী নয়, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সব জায়গায় অবৈধভাবে দখলে থাকা জমি উদ্ধারে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক কারণে দখলে থাকা কিছু জমি এবং স্থাপনা উদ্ধারে সমস্যা হচ্ছে। তবে এ বিষয়েও আমরা কাজ করছি। পর্যায়ক্রমে এসব জমি উদ্ধার করা হবে।’

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ