ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টানা তিন দিন থেমে থেমে হয় বৃষ্টি। এতে পাবনার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। কিন্তু গত শনিবার সকাল থেকে তাপমাত্রা আবারও বেড়ে যায়। তবে সেটা ছিল সহনীয় পর্যায়ে। এরই মধ্যে রবিবারের সকালটা ঈশ্বরদীর মানুষের চোখে একটু অন্য রকম হয়ে দেখা দেয়। হেমন্তের শুরুতে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে উপজেলার চারপাশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তবে শীত যে দোরগোড়ায়, সেটা গতকালের ঘন কুয়াশা জানান দিচ্ছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ইনচার্জ নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, ‘সকালের ঘন কুয়াশা শীত আগমনের বার্তা জানান দিচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় দানার পর তাপমাত্রা কমা শুরু হয়েছে। গত দুই থেকে তিন দিন ধরে ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠানামা করছে। আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।’
গতকাল সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চারদিক ঘন কুয়াশায় ঢাকা। নারী-পুরুষ অনেকে ঘন কুয়াশার মধ্যেও রাস্তায় হাঁটতে বের হয়েছেন। শ্রমজীবীদের কেউ সাইকেলে, কেউবা হেঁটে কাজের সন্ধানে যাচ্ছেন। গাছের পাতায় কুয়াশার শিশির বিন্দু জমেছে। পাখিরা ঘন কুয়াশার কারণে বৈদ্যুতিক তারে বসে ঝিমুচ্ছে।
এ সময় কথা হয় রাস্তায় হাঁটতে বের হওয়া শহরের পিয়ারপুর এলাকার কলেজশিক্ষক মাহাবুব আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঘন কুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে শীত আমাদের দোরগোড়ায়। কয়েক দিনের বৃষ্টিতেও তাই মনে হয়েছে। শীত অনুভূত হওয়ায় মধ্যরাতে ফ্যান বন্ধ রাখতে হচ্ছে।’