পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) খাদ্যপণ্য ট্যাগ অফিসারের যোগসাজশে কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার মুলাডুলির পতিরাজপুর খয়বার মালিথার দোকানের সামনে ৭৬৩ জন গ্রাহকের মধ্যে ৫৪ টিসিবির পণ্য কার্ডধারী গ্রাহককে পণ্য দেওয়া হয়নি। এতে কার্ডধারী গ্রাহকরা ক্ষিপ্ত হয়ে টিসিবির পণ্য বহনকারী গাড়ি ও ডিলারকে আটকে রাখেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ট্যাগ অফিসারের সমন্বয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসেন টিসিবির ডিলার।
জানা যায়, টিসিবির পণ্য কার্ডধারীদের মধ্যে বিক্রয়ের জন্য সামিউল ট্রেডার্স পৌরসভার সরকারি সাঁড়া মারোয়াড়ী স্কুল মাঠ, দাশুড়িয়ার কালিকাপুর স্কুল মাঠ ও মুলাডুলির পতিরাজপুর খয়বার মালিথার দোকানের সামনে পণ্য বিক্রয় করে। প্রতিটি স্থানেই ৫৪ থেকে ৭০ জন কার্ডধারীর কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হয়নি। গত মঙ্গলবার গ্রাহকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে ডিলার সামিউলের টিসিবির পণ্যভর্তি ট্রাক অনুসরণ করে দেখা যায়, ট্রাকটি ঈশ্বরদী বাজারের ব্যবসায়ী খয়ের মিয়ার নিজ বাড়ির গোডাউনে আনলোড করা হয়।
মুলাডুলি ইউপির মেম্বার জাহিদুর রহমান তারা মালিথা জানান, টিসিবির ডিলার ৫৪ জন কার্ডধারীকে মাল দেওয়া হয়নি।
মুলাডুলি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মালিথা বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। ডিলারের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।’
ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা জানান, টিসিবির ডিলার সামিউল হাসান সঠিকভাবে কার্ডধারীদের নিকট পণ্য বিক্রয় করছেন না।
ডিলার সামিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভুল হয়ে গেছে।
আমার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের দেওয়ার জন্য মালগুলো আনা হয়।’ তবে কালোবাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন ডিলার সামিউল।
টিসিবি পণ্য বিক্রির ট্যাগ অফিসার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলিউজ্জামান জিয়া জানান, ডিলার কর্তৃক কালোবাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন তিনি।