পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর চরের জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে খায়রুল ইসলাম (৪৫) নামের এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের একজনের বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত খায়রুল চরগড়গড়ি গ্রামের নসিম উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের কর্মী এবং বিগত ইউপি নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। এছাড়া কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়া ইসাই ব্যাপারী (৫০) একই গ্রামের শফি ব্যাপারীর ছেলে।
এদিকে এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে, তারা হলেন- সাজু হুদী (৫০), জামাত ফকির (৫০), নাসির উদ্দিন (৩০), মিঠুন আলী (৩৫), মোসলেম উদ্দিন (৬০), মানু প্রামানিক (৫৫), খোকন প্রামাণিক (৩৫), নুর বেগম (৫০), জিল্লুর রহমান, ওলিউর রহমান, আব্দুল মজিদ ও ইছাই প্রামানিক। এদের মধ্যে গুরুতর অন্তত দশজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের ঈশ্বরদী ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সাহাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মিলন প্রামানিক বলেন, পদ্মা নদীর চরের জমিজমা নিয়ে খায়রুল ইসলাম ও তার প্রতিপক্ষ রিয়াজুল ব্যাপারীর সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল। এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে আলহাজ্ব মোড় এলাকায় তাদের দু’জনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মারামারি থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এদিকে এই ঘটনার পর থেকে রাত আটটায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত চরগড়গড়ি এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে।’