“মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চায়।” কবি গুরু রাবিন্দ্রনাথের এই পঙ্কির মত ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ রোড তছের পাড়ার শিশুকালে বাবা হারানো মৃত আবুল কালাম আজাদের বড় ছেলে সিজানুর রহমান সিজান(১৮) বাঁচতে চায়।
কিন্তু মরনব্যাধী ক্যান্সার তার রক্তে বাসা বেধেছে।তাই টাকা আর চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে সে। সিজান গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করে পাকশী রেলওয়ে ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। এরপরই জ্বর সহ টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হন।ডাক্তার আটটি ইনজেকশন দেওয়ার কথা বলেছিলো কিন্তু টাকার অভাবে পাঁচটির বেশি আর দেওয়া হয় নি।তারপর তার অসুখের বিভিন্ন পরিক্ষা নিরীক্ষা করে জটিল সমস্যা ধরা পরে।
পরে রাজশাহী ও ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল হাসপাতালে তে পরীক্ষা করলে ডাক্তাররা বলেন তার ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে। শরীরে রক্ত উৎপাদন ক্ষমতাও নেয়।সিজানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমোটোলজি বিভাগের ৫৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।এ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মুর্শেদুজ্জামান বলেন এ রোগের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল।
তার মা পারুল বেগম বলেন এমন সুস্থ সবল হাসিখুশি একটি ছেলের এমন রোগ হয়েছে আমার বিশ্বাস হয় না।আমি মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করি কিভাবে এই ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা করাবো।তাই বিত্তবান ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আমার ছেলেকে বাচাতে আমাকে আপনারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।যেন আবার সিজান সব শিক্ষার্থীদের মত কলেজে যেতে পারে মাঠে খেলাধুলা করতে পারে।
সহপাঠী জিসান বলেন সিজান ছোট বেলা থেকেই অনেক চুপচাপ শান্ত প্রকৃতির কারওসাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হতো না।মসজিদের মুসল্লীরা বলেন ও ছোট বেলা থেকেই মসজিদে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত ওর এমন কঠিন রোগ হয়েছে ভাবতেই পারছি না।
সিজান পড়াশোনার পাশাপাশি ঈশ্বরদী শেরশাহ রোডে একটি কিন্ডারগার্টেনের সামনে ঝালমুড়ি, বিস্কুট, চিপস বিক্রি করে সংসারে সহযোগিতা করতো।কষ্টের মাঝে ভালোই চলছিল তাদের সংসার ।সিজান বলেন আমার অনেক স্বপ্ন আমি পড়াশোনা করে চাকরি করে আমার মায়ের দুঃখ ঘুচাবো মায়ের মুখে হাসি ফোটাবো। কিন্তু টাকার অভাব আর চিকিৎসায় কি নিভে যাবে সিজানের জীবন প্রদীপ।
১৮ বছরের সংসারের হাল ধরা কলেজ ছাত্র সিজান তো মরিতে চাই না এই সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে বাঁচতে চায়। সিজানকে বাঁচাতে আপনারা এই 01719309656 নম্বরে বিকাশ অথবা রকেটে সহযোগীতা করতে পারেন অথবা সোনালী ব্যাংক শাখায়৪১১১১০১০২১০৭৪।