বন্ধুর জন্য বন্ধু। বন্ধু শব্দটা ছোট হলেও এর পরিধি এতটায় বিস্তৃত যে পরিমাপ করার সাধ্য কারো নেই। তারপর ও ছোট পরিসরে বলতে গেলে বন্ধু মানেই আত্নার টান, ভালবাসার বন্ধন, হৃদয়ের সংস্পর্শ, একে অন্যের ছায়া, বড় রকমের ভরসার জায়গা।
পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি ১৯৮৬ ব্যাচের আয়োজনে আজ পাবনা রুপকথা ইকো রিসোর্টে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বান্ধবীদের মিলন মিলায় পরিনত হয়।
প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর শেষ করে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এস এস সি ১৯৮৬ ব্যাচের বান্ধবীদের সাথে এক টেবিলে বসা অন্যারকম অনুভূতির কথা জানালেন পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি ১৯৮৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী আসফিয়া, সামস্ মুনা ও সুরমী।
দীর্ঘ ৩৭ বছর পর প্রিয় বান্ধবীদের কাছে পেয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশের তৈরি হয়। অনেকে মেতেছেন হাসি-ঠাট্টা, স্মৃতিচারণা আর আড্ডায়। গল্পগুজবের সঙ্গে সেলফি-ছবি তুলে মুহূর্তটা স্মরণীয় করে রাখছেন।
এ যেন পুরনো স্কুলের স্মৃতিতে ফিরে যাওয়ার আনন্দ। তাদের সবার চোখে-মুখে ছিলো খুশির ঝিলিক। স্কুল-কলেজ জীবনের হারিয়ে যাওয়া বাঁধভাঙা বন্ধুত্বের এক একটা পরিচ্ছেদকে আরেকবার ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ মেলে এই আয়োজনে।
মিলন মেলায় ফারহানা হোসেন বলেন, বান্ধবী ছিলাম, বান্ধবী আছি, বান্ধবী থাকব। জীবন চলার পথে যতো মানুষের সঙ্গেই বন্ধুত্ব হোক না কেন, স্কুল লাইফের বন্ধুই হতে পারে সেই প্রকৃত বন্ধু। এ কারণেই আমরা সবাই মিলে চেয়েছিলাম এমন একটা আয়োজন করতে যেখানে সবাই একসঙ্গে বহুদিন পর একত্রিত হতে পারবো।
এ সময় তৎকালীন প্রিয় শিক্ষক আদু বালা শীল, মনোয়ারা বেগম, রোকেয়া বেগম, বেলী মনোয়ারা বেগম উপস্থিত ছিলেন। পরে স্মৃতিচারণ ও কেককাটা হয়।