পাবনার ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউটের ক্যাম্পাসে গড়ে তোলা হয়েছে বাহারি ফুলের বাগান। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই বিচিত্র ফুলের সমারোহ। বাহারি এসব ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় প্রকৃতি প্রেমীরা। রাজশাহী, পাবনাসহ দূরদূরান্ত থেকেও ছুটে আসছেন ফুল প্রেমীরা।
বিএসআরআই-এর মূল ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই ‘কালজয়ী মুজিব’ ম্যুরালের সামনে দেখা যায় রং-বেরঙের নানা ফুল। একটু সামনে এগোতেই গেষ্টহাউসের চারদিকে দৃষ্টিনন্দন নানারকম ফুল শোভা পাচ্ছে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, চামেলি ও টগরসহ নানা ফুল। ট্রেনিং সেন্টারসহ আশেপাশে যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ। ক্যাম্পাস ঘুরে আরও দেখা গেছে, বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন সব ফুলের বাগান।
এই প্রতিষ্ঠানে সকল ঋতুতেই বিশেষ করে শীত ও বসন্তে বাহারি ফুলের বাগান করার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। তবে বিগত এক দশকে দৃষ্টিনন্দন মৌসুমি ফুলের বাগান তৈরিতে ভাটা পড়ে।
প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী ও কর্মচারীরা জানান, নতুন ডিজি সাহেব আসার পর থেকে প্রতিষ্ঠানে বৈচিত্র্য আনার প্রচেষ্টা চলছে। এরিমধ্যে তৈরি হয়েছে মুজিব কর্নার। পুরাতন আমলের সবকিছু ঝেড়ে ফেলে সাজানো হচ্ছে অফিস।
প্রতিদিন প্রকৃতির সুশোভিত সবুজ ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসে সব বয়সের দর্শনার্থী বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা। প্রকৃতির টানে ব্যস্ত সময়ে একটু অবসরের প্রয়োজনে বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসে এখানে। যেখানে প্রকৃতির মধ্যে যুক্ত হয়েছে এই ফুলের বাগান।
ঘুরতে আসা দিলারা জানান, ফুল দেখে মনটা হালকা হয়ে গেছে। বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন আনিসুর রহমান বলেন, প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে এসেছি। ইটপাথরের শহরে এমন দৃশ্য মন ভালো করে দেয়। তাই এখানে ঘুরতে এসেছি। ফুলের সঙ্গে ছবিও তুলেছি।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নানা প্রকারের গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, আকাশি সাদা স্নোবল, কসমস, জুঁই, চামেলি, টগর, জিনিয়া, বেলি, গোলাপ, জবা, রঙ্গন, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।
কথা হয় মহাপরিচালক ড. ওমর আলীর সাথে। তিনি বলেন, গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে মূল গেট থেকে শুরু করে গেস্ট হাউস, পুকুরপাড়ের সৌন্দর্য, লেক তৈরি, অফিস ও বাংলো সুন্দর করে সাজাচ্ছি। আমি সবসময় সুন্দরের পূজারী। বিএসআরআই-এর আনাচে-কানাচে ফুলগাছ লাগিয়ে সৌন্দর্যবর্ধন করেছি। যা শুধু প্রতিষ্ঠানের লোকই নয়, স্থানীয় মানুষ এমনকি পাবনা-রাজশাহী থেকেও লোকজন দেখতে আসছেন। আমি থাকবো না, কিন্তু এসব সৌন্দর্য মানুষের মনে চিরস্থায়ী হয়ে গেঁথে থাকবে।