লোগো : জামায়াতে ইসলামী |
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ আসনে ঈশ্বরদীতে পৌর জামায়াতের আমিরসহ ৯ জামায়াত নেতা সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হয়েছেন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে জামায়াতের নেতাকর্মী এসব দায়িত্ব পেলেও বাদ পড়েছেন প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই শিক্ষক। এ নিয়ে শহরজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত প্রশিক্ষণের আমন্ত্রণপত্রের ফটোকপি হাতে পাওয়ার পর খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গেল বছরের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াতের এসব নেতাকর্মীরা সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে সারাদিনব্যাপী নির্বাচনী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে এলে বিষয়টি নিয়েও গুঞ্জন সৃষ্টি হয়।
অফিসাররা হলেন- পৌর জামায়াত ইসলামের আমির শহরের নারিচা মশুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম শিক্ষক গোলাম আজম, সাঁড়া ইউনিয়নের মাঝদিয়া বাবুল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক আরিফুল ইসলাম, ওই প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক মুজাহিদ, আরিফ হাসনাত, সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, শামসুর রহমান, সাঈদুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির ইবতেদায়ী প্রধান আবু ইলিয়াস খান, পোলিং এজেন্ট হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহকারী সুফিয়া খাতুন ও অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর আরাফাত খান।
মাঝদিয়া বাবুল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক তৌহিদ সরওয়ার বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে তিনিসহ দুজন মাত্র আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন থেকে বাদ রাখতে মাদ্রাসা থেকে নির্বাচন অফিসে তালিকা পাঠানো হয়েছে। যাদের নাম পাঠানো হয়েছে তারা সবাই জামায়াত নেতা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক গোলাম আজম বলেন, চাকরি করি। আমাকে নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন অবশ্যই দায়িত্ব পালন করবো।
জামায়াত ইসলাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এখন সঙ্গে ভোটে কোনরূপ অংশগ্রহণ না করার জন্য দলের পক্ষ থেকে আপনাদের (নেতাকর্মীদের) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন কি না জানতে চাইলে জামায়াতের এই আমির বলেন, দলের সিদ্ধান্তের সাথে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে কোন প্রতিবন্ধকতা আছে বলে মনে করি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ বলেন, কে কোন দল করে এটা মুখ্য বিষয় না। নির্বাচনে দায়িত্ব কীভাবে পালন করবে সেটা দেখার বিষয়। তাছাড়া নির্বাচন উপলক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য শিক্ষকদের প্যানেল চাওয়া হয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো তালিকা মোতাবেক গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তাছাড়া নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নীতিমালায় কোথাও উল্লেখ নেই যে জামায়াত ইসলাম বা অন্য কোন দল সমর্থিত শিক্ষকরা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রত্যেকেই কোনও না কোনও ভাবে তাঁদের (জামায়াতে ইসলামী) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।