হাসপাতাল |
আহত ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর হোসেন। ছবি: আমাদের ঈশ্বরদী
পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মুলাডুলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন গুরুতর আহত হন। এ খবর শুনে তার বাবা আকমল হোসেন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়ার নতুন ট্রাফিক মোড়ে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। এ খবর শোনার পরপরই বুকে ব্যথা অনুভব করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আকমল হোসেন।
আহত ছাত্রলীগ নেতার দুই পা ভেঙে গেছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংগঠন সূত্রে জানা যায়, দুপুরে মুলাডুলিতে দলের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে আলমগীর হোসেনসহ তার সমর্থকরা দাশুড়িয়া নতুন ট্রাফিক মোড় হয়ে মুলাডুলি মুক্ত মঞ্চে যাচ্ছিলেন। এসময় দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আলমগীর হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে বেদম মারধর করেন। এতে তার দুই পা ভেঙে যায়। পরে কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরিচয় |
আহত ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর হোসেন ও অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ছবি: আমাদের ঈশ্বরদী
মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠু বলেন, আলমগীর ও ফাহিম দুজনই আমার নিকটাত্মীয়। কলেজ সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল বলে শুনেছি। সেই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরেই এ ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ ফাইমের ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।