সর্ববৃহৎ ঈশ্বরদী রেল জংশন স্টেশন থেকে অবিলম্বে নতুন ট্রেন চালু ও অন্যান্য ট্রেনে আসন সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে ঈশ্বরদী শহরে বিরাট মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সমাবেশ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
‘ঈশ্বরদীর সচেতন নাগরিকের’ ব্যানারে এলাকার সংগঠক, ফুটবল খেলোয়াড় ও সাধারণ যাত্রী এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। দুপুর ১২টার দিকে ঈশ্বরদী বাজারের প্রধান ফটকের সামনে এ অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন ও পথ সমাবেশ।
এখান থেকে বক্তারা ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের পুরনো ঐতিহ্য রক্ষা এবং এ অঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রীদের ঈশ্বরদী-ঢাকার মধ্যে যাতায়াতের সুবিধার্থে ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে অন্তত নতুন দু’টি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু ও অন্যান্য ট্রেনে আসন সংখ্যা বাড়ানো দাবি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আয়োজক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে খুলনা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে ঢাকার পথে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করত। এখানকার হাজার হাজার যাত্রী এই বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় যাতায়াত করত। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ রুট পরিবর্তন করে ট্রেন দু’টি পদ্মা সেতু দিয়ে চালানোর জন্য ১ নভেম্বর থেকে ঈশ্বরদী লাইন বাতিল ঘোষণা করেছে। এতে এ অঞ্চলের ট্রেন যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তারা ট্রেনে সহজে ঢাকা যেতে পারছেন না। এ অবস্থায় ঈশ্বরদী থেকে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দাবি জানান তারা। দ্রুত তাদের দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
পথসভায় বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি খোন্দকার মাহাবুবুল হক দুদু, সাবেক জাতীয় ফুটবলার সিরাজুল ইসলাম মোহন, সাংস্কৃতিক সংগঠক আতাউর রহমান বাবলু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মাসুদ রানা, প্রকৌশলী অঞ্জন রহমান, ওহিদুর রহমান ঝন্টু, কাউন্সিলর আমিনুর রহমান প্রমুখ।
পথসভাটি পরিচালনা করেন ক্রীড়া সংগঠক ওহিদুজ্জামান টিপু।
এরপর ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয় আরেকটি বিক্ষোভ সমাবেশ। এসময় ‘আমরা ঈশ্বরদীবাসীর’ পক্ষ থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়।