খুলনা-ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও যশোরের বেনাপোল-ঈশ্বরদী- ঢাকা রুটে চলাচলকারী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন প্ল্যাটফরমে ‘আমরা ঈশ্বরদীবাসী’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, ঈশ্বরদী একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংসন স্টেশন। এতদিন সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন খুলনা থেকে ঈশ্বরদী স্টেশন হয়ে ঢাকা চলাচল করতো। একইভাবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন যশোরের বেনাপোল থেকে ঈশ্বরদী হয়ে ঢাকা চলাচল করতো। ঈশ্বরদী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েকশ মানুষ এ ট্রেনে চলাচল করতো।
এ দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে ঈশ্বরদীসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ ওই দুই ট্রেনে চলাচল করতে পারবে না। আগেই ঈশ্বরদী থেকে বিকল্প ট্রেনের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। দুটি ট্রেনের রুট পরিবর্তনের ঘোষণা বাতিল করে ঈশ্বরদী হয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। তা নাহলে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকাগামী নতুন আন্তঃনগর ট্রেনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় ঈশ্বরদীবাসী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আসাদুর রহমান বীরুর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ববি সরদারের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ, লেখক ও কলামিস্ট মোশাররফ হোসেন মুসা, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তৌহিদ আক্তার পান্না, সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদ, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মফিকুল ইসলাম মুকুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মাসুদ রানা, উপজেলা যুবলীগ নেতা মিলন চৌধুরী, রেল শ্রমিকলীগ নেতা সাঈদ ইকবাল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিশাত জামান অমি, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন, মানবাধিকার কর্মী সালাউদ্দিন আহমেদ।
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন রুট পরিবর্তন প্রসঙ্গে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ম্যানেজার শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ নভেম্বর এই দুটি ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে। ফলে ঈশ্বরদী রুটের অন্য স্টেশনে এ ট্রেন চলাচলের সুযোগ নেই। দুই ট্রেনের পরিবর্তে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে ধুমকেতু ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়েছে। মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহী থেকে ঢাকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটিও ঈশ্বরদীতে যাত্রাবিরতি দেবে। পাবনা থেকে একটি ট্রেন ঢাকা চলাচলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। এটিও ঈশ্বরদী স্টেশন হয়ে চলাচল করবে। ফলে সুন্দরবন ও বেনাপোলের পরিবর্তে ঈশ্বরদী থেকে চলাচলকারীরা অন্য ট্রেনে চলাচলের সুবিধা থাকছে।