ঈশ্বরদীস্থ বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) অনিয়ম দুর্নীতির আঁকড়া হিসেবে পরিণত হয়েছে। নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনার ফলে জাতীয় প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক গবেষণা ও কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপকদের ধারাবাহিক নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সমন্বিত গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্প, সাথী ফসল প্রকল্প, পরিচ্ছন্ন বীজ বিতরণ প্রকল্প এবং মধু প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাত করা হয়। বিএসআরআইএর আওতাধীন পাবর্ত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য পাইলট প্রকল্পে বিশাল অঙ্কের টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। টাকা হাতিয়ে নিতে এসব প্রকল্পের পরিচালক হন মহাপরিচালক নিজেই। এছাড়াও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ না নিয়ে প্রশিক্ষণ ভাতা ও টিএডিএ নেওয়ার মত ঘটনাও ঘটছে। বিএসআরআই কতৃর্ক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তী প্রকাশের ক্ষেত্রেও নিয়ম না মেনে অর্থ বণিজ্যের মাধ্যমে কতিপয় মূখচেনা ব্যক্তিকে দিয়ে দীঘদিন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের অভিযোগও রয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে সাথী ফসল গবেষণা কর্মসূচির জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি টাকা। প্রতিটি প্লটে কৃষকদের ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও কৃষকদের দেওয়া হয়েছে মাত্র আড়াই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা।
কয়েকজন কৃষক বলেন, শুরুতে আড়াই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পরে আর কোন যোগাযোগ করেন না প্রকল্প পরিচালক। ফলে নামমাত্র এই অর্থ পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কৃষক। তারা বলেন, আমরা লেখাপড়া জানি না। শুনেছি অনেক টাকা পাব। কিন্তু এই টাকা দিয়ে আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়।
এই বিষয়ে সাথী ফসল গবেষণা কর্মসূচির পরিচালক ড. আবু তাহের সোহেল জানিয়েছিলেন, আমি প্রকল্প মনিটরিং করেছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি।